গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটি এলাকায় শামীমা আক্তার সাথী (২২) নামে এক গার্মেন্ট কর্মীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত শামীমা আক্তার সাথী রাজবাড়ীর পাংশা থানার খামারডাঙ্গা এলাকার সালমান হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে সালমান পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, এক বছর আগে রাজবাড়ীর পাংশা থানার খামারডাঙ্গা এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে সালমানের সঙ্গে যশোর সদর থানার অভয়নগর এলাকার নূর ইসলামের মেয়ে শামীমা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। শামীমা কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটি এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে গার্মেন্টে চাকরি করতেন।
সালমান গ্রামের বাড়ি থাকতেন। মাঝে মাঝে তিনি কালিয়াকৈরে তার স্ত্রী শামীমার কাছে আসতেন। গতকাল শুক্রবার রাতে সালমান তার স্ত্রী শামীমার কাছে আসেন। শনিবার সকালে পাশের রুমের হাসি আক্তার নামে এক মেয়ে শামীমাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে সে শামীমাকে বিবস্ত্র ও মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
কালিয়াকৈর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নূর ইসলাম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী সালমানের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গাজীপুরে হোটেলে অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় ৩৩ নারী-পুরুষ আটক ভিডিওটি দেখুন….
মেঘনায় লঞ্চ-কার্গো সংঘর্ষে বেঁচে গেল দুই শতাধিক যাত্রী / মুহূর্তেই ডুবে গেল: ভিডিওটি দেখুন….