আসছে ভোটের দিন। আর সেই আবহ ক্রমশ উত্তাপ বাড়াচ্ছে রাজনীতির অঙ্গনে। চলতি মাসেই নানা নির্বাচনমুখী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল গুলো। নির্বাচনের হাওয়া বইছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্রীড়াব্যক্তিত্বরা তৎপর। আওয়ামী লীগ-বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে ইঁদুরদৌড় খেলা। খেলার মাঠ ছেড়ে সবাই দলীয় অফিসে যাতায়াত করছেন।
শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বাসাবাড়িতেও যাচ্ছেন কেউ কেউ। মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা সফর করছেন অনেকেই। এখন সময় দিচ্ছেন নিজস্ব এলাকায় সামনের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য।
আসন্ন একাদশতম জাতীয় নির্বচনে প্রায় অর্ধশত ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক খেলোয়াড় অংশ নেবেন। এদের মধ্যে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি সংগঠকের পাশাপাশি সাঁতার, অ্যাথলেটিক্স, রোইং, সাইক্লিং, ভলিবলের সংগঠকরাও রয়েছেন।
নির্বাচন করবেন এককালের সাড়া জাগানো ফুটবলার, রণাঙ্গনের মুক্তি যোদ্ধা, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, আবদুস সালাম মুর্শেদী, খুরশিদ আলম বাবুল, আরিফ খান জয়, আমিনুল হক, সাইদুর রহমান প্যাটেল ও ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়।
জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন মোহামেডান-আবাহনীর সংগঠকরাও। এই দু’ক্লাবের কর্মকর্তারাই নির্বাচনের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি ব্রাদার্স, ওয়ারী, খুলনা, চট্টগ্রাম আবাহনীর সংগঠকরাও পিছিয়ে নেই।
জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফির আওয়ামী লীগের ব্যানারে নড়াইল সদর থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরও নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বাতাসে ভাসছে।