শরীয়তপুর সদর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দাসাত্তা গ্রামে গ্রামের প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে শিশুদের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত ১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় অস্ত্রের মুখে বাড়ির শিশুসহ সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও ট্যাব লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ১৫-১৭ জন ডাকাতের একটি দল রোববার রাত ১টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে প্রথমে প্রবাসী মিন্টু মোল্লার ঘরে ঢুকে।
এ সময় বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে শিশুদের গলায় অস্ত্র ধরে দুই ঘণ্টা মালামাল লুটপাট করে ডাকাতরা। এরপর ঘরের সবকিছু তছনছ করে তিনটি মোবাইল, দুটি ট্যাব, ৩০ হাজার টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় তারা।
প্রবাসী মিন্টু মোল্লার স্ত্রী কহিনুর আক্তার বলেন, ঘরে ঢুকে আমার ছোট সন্তানের গলায় অস্ত্র ধরেছে ডাকাতরা। আমি বলি বাবুকে ছেড়ে দেন। ঘরে যা আছে নিয়ে যান। তখন একটি মোবাইল, একটি ট্যাব ও ৭ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায় তারা। ডাকাতদের প্রত্যেকের হাতে টস লাইট ও অস্ত্র ছিল।
মিন্টু মোল্লার ভাই সেন্টু মোল্লার ৮ বছর বয়সী মেয়ে সিনথিয়া জানায়, সবার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠলে ডাকাতরা আমার মুখ চেপে ধরে। এ সময় গলায় অস্ত্র ধরে ডাকাতরা বলে, চুপ করে থাক, না হয় গুলি করে দেব।
প্রবাসী সেন্টু মোল্লার স্ত্রী রুবিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী-দেবর বিদেশে থাকেন। শাশুড়ি ও সন্তান নিয়ে আমি বাড়িতে থাকি। রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। পরে দেখি আমার ঘরের ভেতর ১৫ জন লোক। ওরা আমার মেয়ের গলায় অস্ত্র ধরে বলে, কথা বলবি না, তোর মেয়েকে মেরে ফেলব। তখন ভয়ে আমি আলমারির চাবি দিয়ে দেই। আমার শাশুড়ি চিৎকার করলে তাকে মারধর করে তারা। পরে সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণ, ১৫ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ও একটি ট্যাব নিয়ে যায় ডাকাতরা।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পালং থানাধীন দাসাত্তা গ্রামের প্রবাসীর বাড়িতে গত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই রাতে বাড়িতে নারী আর শিশুরা ছাড়া কোনো পুরুষ ছিল না। বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে সব জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাতরা। সোমবার সকালে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নড়িয়া-সার্কেল) কামরুল হাসান ওই বাড়িতে গেছেন। এ ব্যাপারে থানায় এখনো মামলা হয়নি। তবে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজছে পুলিশ।সুত্র: জাগোনিউজ২৪