ক্রিকেট মাঠে একযুগ কাটিয়ে ফেলেছেন। অর্জনের পাল্লাটা বেশ ভারীই। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক সালমা খাতুনের সব স্বপ্ন তবুও ক্রিকেট ঘিরেই। ২৮ বছর বয়সী এই টাইগ্রেস তারকার মনেও উঁকি দেয় সংসারের স্বপ্ন। তবে সেটি ক্রিকেটকে সঙ্গে রেখেই।
‘যদি আল্লাহ ভাগ্যে লিখে রাখেন, আর কেউ যদি আমাকে বিয়ে করতে চায়, হয়তো সংসার করবো। কিন্তু যা-ই করি, মাঠ ছাড়তে পারবো না। কারণ আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট এখন আমার জন্য খেলা নয়, দায়িত্ব। যদি দুই, তিনজন মেয়ে ক্রিকেটারও তৈরি করে দিতে পারি দেশের জন্য, মনে করবো কিছুটা হলেও আমার দায়িত্ব পালন করেছি। দেশ আমাকে যা দিয়েছে সেই ঋণ তো শোধ করতে পারবো না।’
সালমা-রুমানা-জাহানারাদের মতো বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের উজ্জ্বল পদচারণা দিনকে দিন বাড়ছে। তারা সাফল্য বয়ে আনছেন। লাল-সবুজের বয়সভিত্তিক ফুটবলে তো মেয়েদের দলের বিজয়গাঁথা একের পর এক মহাকাব্য লিখে চলেছে। আত্মবিশ্বাসী ও অকুতোভয় এই নারীরা দেশের জন্য লড়েন ক্রিকেট-ফুটবল মাঠে, অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে উঁচিয়ে ধরেন লাল-সবুজের পতাকা। তাদের সাফল্যে গর্বিত হয় পুরো জাতি। অথচ পেছনে তাদের কত ত্যাগ, কত সংগ্রাম, ক’জনইবা খোঁজ রাখেন সেসবের!