‘অধিনায়কত্ব চ্যালেঞ্জিং, আমি সবসমই এই ভার নিতে পছন্দ করি। এছাড়া দলকে নেতৃত্ব দেওয়া অনেক সম্মানের ব্যাপার। যদি নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাই তবে তা পালন করতে প্রস্তুত আছি।’ সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে কথা উঠলে কদিন আগে এই কথাগুলো বলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও সায় দিলেন এই কথাতে। বিসিবি প্রধান মনে করছেন, সাকিবের অনুপস্থিতিতে মাহমুদুল্লাহর উচিত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা। অর্থাৎ দুইয়ে দুইয়ে মিলে চার। এবার বলে দেওয়াই যায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো আসেনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে পাপন বলেন, ‘সাকিব অধিনায়ক (টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি), সহ-অধিনায়ক আছে মাহমুদউল্লাহ। স্বাভাবিকভাবে অধিনায়ক না থাকলে সহ-অধিনায়ক অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এটাই নিয়ম। এটাই হয়ে আসছে।’
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এখন নতুন কাউকে অধিনায়ক করলাম, সাকিব ফিট হয়ে ফিরলে সেই অধিনায়ককে বাদ দেবো? একজনকে অধিনায়ক করা, আরেকজনকে বাদ দেওয়া—এটা ভালো দেখায় না। আমার মনে হয় সাকিব ফিট না হওয়া পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর অধিনায়কত্ব করা উচিত।’
জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে মাহমুদুল্লাহর। চলতি বছরই সাকিবের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তাছাড়া বিপিএলে বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে মাহমুদুল্লাহর অধিনায়কত্ব। সেই কারণেই তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছিল মাহমুদুল্লাহকে।