আমরাও বউ জামাই খেলি- রিবা (ছদ্ম নাম)। বয়স সাত। ওয়ানে পড়ে। ধবধবে ফর্সা। মাথা ভর্তি কোকড়ানো চুল। টলটলে চোখ। মনে হয় একটু ছুঁয়ে দিলেই ব্যস। চোখের মায়া আবীর হয়ে হাতে লেগে যাবে। প্রজাপতির রঙের মতো।
মায়ের সাথে ডাক্তারের চেম্বারে এসেছে। প্রসাবে জ্বালা পোড়া। তল পেটে ব্যথা। মায়ের ভাষ্য, ম্যাডাম, পিসাব করনের সময় খালি কান্দে আর লাফায়। পেট চেপে খিচ্চা বইসা থাকে।
পরীক্ষা করে দেখতে চাইলে, প্যান্ট খুলে রিবার মা যা দেখালো তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, বললেই ভালো। সরাসরি জিজ্ঞেস করলে মা বলবে, কী যে কন, ছোট মানুষ।
মনেমনে দু-একটা গালি ও যে দিবে না, বলা যায় না। ডাক্তারদের এ এক জীবন! কত কী যে দেখতে হয়! ঘুরিয়ে প্যচিয়ে জিজ্ঞেস করি,
-বাড়িতে কে কে আছে?
ওর বাপ আর আমি।
আর কেউ না?
না ম্যাডাম। তবে পাশেই ভাসুরের বাসা।
ও কার সাথে খেলাধুলা করে?
আমার ভাশুরের পোলার সাথে। বয়স এগারো বারো। সিক্সে পড়ে।
কখনো জিজ্ঞেস করেছেন, কি খেলা খেলে?
না ম্যডাম। কী খেলব আর, চোর পলান্তি। পুতুল খেলা। এই সব আরকি। জিগানোর কী আছে?
আছে, এখন জিজ্ঞেস করেন তো।
রিবা, মিতুল ভাইয়ার সাথে কি খেলাধুলা করো বলো তো মা?
বউ জামাই খেলি।
বউ জামাই খেলা কী করে খেলো?
.. আব্বু আম্মুর মতো করে… মেয়ে যা বর্ণনা দিলো, শুনে মা মুর্ছা যান আর কি! ছোট বাচ্চার আর দোষ কি? বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। এটা সবাই জানে।
বড়রা অ-বিবেচকের মতো কাজ করবে আর বাচ্চা কাচ্চা দেখে শুনে চুপ করে বসে থাকবে, এটা ভাবার কারণ নেই। আসলেই নেই।
সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যালের, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ছাবিকুন নাহার ঠিক এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। নির্দিষ্ট বয়স হলেই শিশুদের আলাদা শোয়ার ব্যবস্থা করুন।