এনবিএস –
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় স্কুল ড্রেস পড়ে না আসায় মমিনুল ইসলাম নামের এক ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান। গুরতর আহত ওই শিক্ষার্থীকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে।
আহত শিক্ষার্থী বাউড়া নবীনগর গ্রামের ভ্যান চালক রেজাউল ইসলামের ছেলে।
আহত শিক্ষার্থী ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, শনিবার স্কুলের ড্রেসের শার্ট পড়লেও অন্য রঙের প্যান্ট পড়ে স্কুলে উপস্থিত মমিনুল ইসলাম। সেকারণে তাকে অফিস কক্ষে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান। সেখানে যাওয়া মাত্র মমিনুলের কানে সজোরে চড় মারেন প্রধান শিক্ষক। এরপর দ্বিতীয়বার চড় দেয়া মাত্র অফিস কক্ষের দেয়ালে ধাক্কা লেগে মমিনুলের কপাল ফেঁেট রক্ত বের হতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে আহত ওই শিক্ষার্থীকে দ্রুত বাউড়া কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রক্তক্ষরণ বন্ধে মমিনুলের কপালে তিনটি সেলাই করা হয়। এরপর পরিবারের লোকজন এসে আহত ছাত্রকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন।
পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আব্দুস সালাম বলেন, ‘ আহত শিক্ষার্থীর কপালে ৩ টি সেলাই রয়েছে। এছাড়াও সে কানে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ায় তা ক্রমশ ফুলে উঠছে। সেকারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন বলে পরিবারকে জানানো হয় ।
এ বিষয়ে মমিনুল ইসলামের বাবা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ভ্যান চালিয়ে অনেক কষ্ট করে তিন ছেলের লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছি। গত শুক্রবার আকাশে রোদ না থাকায় মমিনুলের স্কুলের প্যান্ট শুকায়নি। তাই অন্য প্যান্ট পড়ে স্কুলে যায়। আর সেই কারণে প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান আমার ছেলেকে মেওে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”
এ বিষয়ে বাউড়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে অসংখ্যবার কল দেয়া হলেও তিনি কল গ্রহন করেননি।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, “এনিয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে প্রথমেই তিরস্কার করা হয়েছে। তবে আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার অভিযোগ দিলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”