কন্ডোম ব্যবহারের সুবিধা:
১. কন্ডোম ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ এড়ানো সম্ভব। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে মেয়েদের মুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে, পুরুষরা কন্ডোম ব্যবহার করলে মেয়েদের পিল খাওয়ার দরকার পড়ে না।
২. বিভিন্ন ধরনের যৌনরোগ, যেমন এডস, কন্ডোম ব্যবহার করে ঠেকানো সম্ভব। অ্যানাল সেক্সের ক্ষেত্রে কন্ডোম খুবই কার্যকরী, কারণ এই সেক্স থেকে যৌনরোগ ছড়ানোর হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
৩. কন্ডোম কেনা অনেক সুবিধাজনক। এক্ষেত্রে কোনও প্রেসক্রিপশন দরকার হয় না। আজকাল অনলাইনেও কন্ডোম কিনতে পাওয়া যায়। তাছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণের অন্যান্য ওষুধ বা সরঞ্জামের চেয়ে কন্ডোম দামেও সস্তা।
৪. যৌন সঙ্গমের আনন্দ বাড়াতে আজকাল নানা ধরনের কন্ডোম বাজারে পাওয়া যায়। যেমন, সুপারথিন কন্ডোম ব্যবহার করলে বোঝাই যাবে না যে, পেনিসে আদৌ কিছু পরা হয়েছে! ডটেড কন্ডোম ব্যবহার করলে সঙ্গিনীর শিহরন বেড়ে যায়। লং লাস্ট কন্ডোম ব্যবহার করলে বীর্যপাত হতে বিলম্ব হয়, কারণ তাতে বেনজোকেন নামে একটি উপাদান থাকে! যাঁরা বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের সুগন্ধী কন্ডোম।
৫. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু, কন্ডোমের সাধারণত কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। কারও কারও কন্ডোমে অ্যালার্জি হয় বটে, কিন্তু সেটা সংখ্যায় খুব নগণ্য।
কন্ডোম ব্যবহারের অসুবিধাঃ
১. যতবার সেক্স করার দরকার হয়, ততবার কন্ডোম পরতে হয়। ভুলে গেলেই বিপদ। পিল খেলে যেমন তথাকথিত অসুরক্ষিত সেক্স করলেও ভাবনা থাকে না, কন্ডোমের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। তাই সেক্স করার সময় হাতের নাগালে কন্ডোম রেখে দিতে হবে।
২. অনেকেই বলেন, কন্ডোম পরে সেক্স করলে পুরোপুরি আনন্দ পাওয়া যায় না। কন্ডোম মোটা লেটেক্সের হলে আনন্দ মাটি হতে পারে। কারণ, সেক্ষেত্রে যোনির ভিতরের উষ্ণ অনুভূতি পাওয়া যায় না। তবে সুপারথিন কন্ডোম ব্যবহার করলে মুশকিল আসান হতে পারে। যদিও অনেকে তাতেও সন্তুষ্ট নন।
৩. ফোরপ্লে (সঙ্গমের আগে পারস্পরিক আদর) করার সময় কন্ডোম পরলে অসুবিধা হতে পারে। যেমন, ফোরপ্লের সময় কন্ডোম পরে থাকলে পুরুষের সঙ্গে ওরাল সেক্স করা যায় না। সেক্ষেত্রে ওরাল সেক্স হয়ে যাওয়ার পর পুরুষ কন্ডোম পরতে পারে। এটা সেক্সের ছন্দপতন ঘটানোর পক্ষে যথেষ্ট।