এক কথায় মোহাম্মদ আমির দুর্দান্ত। তবে কি এক কথায় এই পেসারের ঝল ঝলে ক্যারিয়ারের বর্ণনা দেয়া যায়? উত্তর আসবে না। কারণ ক্যারিয়ারে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছেন তিনি। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে বাদ পড়েছেন। ফের মাঠে ফিরেছেন। নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের কোমড় ভেঙে দিয়েছেন। সময়ের ব্যাবধানে হয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম বোলিং ভরসা। এই তো গেল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চিরপ্রতিদ্বন্ধী ভারতকে একাই বিধ্বস্ত করেছেন আমির। ১৮০ রানের বড় ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি ছিনি নেয় পাকিস্তান।
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেখানে বোলারদের দম বন্ধ করে দেন, অথচ সেই কোহলি সমীহ করেন আমিরকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে পথ হারিয়েছেন আমির। ওয়ানডেতে টানা ১০ ম্যাচে উইকেটের দেখা পাননি তিনি। সদ্যসমাপ্ত হওয়া এশিয়া কাপেও নিজের হাতের সুবিচার করতে পারেননি তিনি। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অন্যতম বোলিং ভরসাও ছিলেন তিনি। সেখানেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি।
আর তাতে সমালোচনা ২২ গজে এখন আর আমিরের নেই সেই পুরোনো দাপট। উইকেট পাচ্ছেন না। বোলিংয়ে নেই বৈচিত্র্য। দুরন্ত প্রতাপ না থাকায় দল থেকে বাদ পড়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলতি আরব আমিরাতে দলের সাথে নেইেআমির।
এরপর নিজেকে ফিরে পাবার লড়াইয়ে ফিরেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। হতাশ আমির এখানে এসে আলোর দেখা পেয়েছেন। খুঁজে পেয়েছেন নিজের হারানো অস্ত্র।
তিন বছর পর পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কোয়াদ-ই-আজম ট্রফিতে ফিরেছেন আমির। শনিবার (১৩ অক্টোবর) ইসলামাবাদে সুই সাউদার্ন গ্যাস কোম্পানির হয়ে ওয়াপাদার বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন আমির। শুরুটা মন্দ হয়নি। ১৪ ওভার বোলিং করেছেন প্রথম দিনে। ৩১ রানের খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট।
৫৯ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২১৯ উইকেট পেয়েছেন আমির। এর আগে মাত্র ১৫টি ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে।
ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা বিশ্বাস করেন ঘরোয়া ক্রিকেটে শিগগিরই ভালো করে জাতীয় দলে জায়গা করে নেবেন ২৬ বছর বয়সি এ পেসার।