গেলো সপ্তাহে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ বর্ষ সেরা এই পুরস্কারের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে ৩০ জনের মধ্যে রয়েছেন মেসিও। ফুটবল ম্যাগাজিনটি একটি অনলাইন ভোটিংয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। এর পর সেটি বন্ধ করে দেয়ায় বেধেছে বিপত্তি।
বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড গেল ১০ বছরের প্রতিবারই ছিলেন ফেভারিট। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আর মেসি ব্যালন ডি’র শিরোপাটি যেন নিজেদেরই করে নিয়েছিলেন। দুজনই জিতেছেন পাঁচবার করে।
তবে এবারের বিষয়টি ভিন্ন, মেসি নিজেও জানেন, বর্ষসেরা হবার দৌড়ে বেশ দূরেই রয়েছেন তিনি। ঝামেলা বেধেছে ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন নিজেদের ফ্যানদের জন্য ভোটিং লাইন খুলেছিল। ব্যালন ডি’অর কে হচ্ছেন, এনিয়ে ভোটিংয়ের কোনো সম্পর্ক ছিল না। শুধু ফ্যানদের পছন্দ জানার জন্যই ভোট নেয়া হচ্ছিল। অল্প সময়ে প্রায় সাত লাখ চার হাজার ৩৯৬ জন এতে ভোট দেয়। সবাইকে পেছেনে ফেলে এক নম্বরে উঠে আসেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। আর এতেই সব ওলট পালট হয়ে যায়।
তালিকায় থাকা অন্যদের তুলনায় ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে এক নম্বরে ছিলেন মেসি, দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ৩১ শতাংশ ভোট পাওয়া মিশর ও লিভারপুল ফরোয়ার্ড সালাহ। মাত্র ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন পর্তুগাল ও জুভেন্টাসের মহারাজ রোনালদো।
মজার বিষয় হচ্ছে, ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার ‘দ্য বেস্ট’ পাওয়া ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচ মাত্র ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
প্রথম পর্বের ফল জানার পরই দ্রুত এই ভোটিং লাইন বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। আর এই নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নিজেদের পছন্দের ফল না হতেই ভোটিং লাইন বন্ধ করা হয়েছে এমনটা অভিযোগ অনেকেই করেছেন ম্যাগাজিনটির বিরুদ্ধে। অনেকেই প্রশ্নও রাখেন, তাহলে কী আগে থেকেই ঠিক করা থাকে কে পাবেন শিরোপাটি।
মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল/মিশর) ৩১%। লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা/আর্জেন্টিনা) ৪২%। -আরটিভি