থামছেই না তার কান্না। কোনো কিছুতেই তাকে শান্ত করতে পারছেন না কেউ। দুই চোখের জলে ভিজিয়ে দিয়েছেন গাল, মুখ, বুক। বারবার বলে চলেছেন, ‘বুঝতেই পারলাম না এভাবে চলে যাবেন বাচ্চু ভাই।’
তিনি রুবেল। আইয়ুব বাচ্চুর সহকারী তিনি। যারা বাচ্চুকে চেনেন তারা রুবেলকেও চেনেন খুব ভালো করেই। গেল ৮ বছর ধরে বাচ্চুর ছায়াসঙ্গী তিনি। যেখানে গিয়েছেন, সবখানেই ছায়ার মতো দেখা যেত রুবেলকে। তার হাতেই থাকতো বাচ্চুর সারাদিনের কর্মসূচি।
সকাল থেকে রাত, যার সঙ্গে মিশে থাকতেন তার না থাকার শূন্যতাকে মানতেই পারছেন না রুবেল। স্কয়ার হাসপাতালে অনবরত কান্না করেই যাচ্ছেন তিনি। কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, ‘আমি বুঝতেই পারছি না নিজেকে কীভাবে শান্ত রাখবো। উনি আমার অভিবাবক, উনি আমার বাবার মতো ছিলেন। কতো মানুষ স্বপ্ন দেখেছে আইয়ুব বাচ্চুকে এক নজর দেখবে বলে। আর তিনি আমাকে তার সঙ্গী করে নিয়েছিলেন। কত আদর, স্নেহ দিয়েছেন তিনি আমাকে। সেই তিনি আমার কোলেই ঢলে পড়লেন’
রুবেল আরও বলেন, ‘বাচ্চু ভাই রংপুরে শো করেছেন ১৬ তারিখ। তখন থেকেই বলছিলেন শরীরটা ভালো লাগছে না। তবে এমন খারাপ কিছু সেটা হয়তো তিনিও আন্দাজ করেননি। আজ সকালে হঠাৎ আমাকে ডাকলেন। বললেন শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। হাসপাতালে যাওয়া দরকার। বলতে বলতেই দেখি পড়ে যাচ্ছেন তিনি। ধরতে গেলাম আমার কোলে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরলেন। চুপচাপ। মুখে ফেনা বের হচ্ছিলো। তারপর ধরে ভাইকে নিয়ে হাসপাতাল আসি। ডাক্তাররা বলছেন, বাচ্চু ভাই বাসাতেই মারা গেছিলেন।’
প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ রুবেলের কান্না আকাশ ভারী করছিলো। তাকে সান্ত্বনা দেয়া যায় না, সান্ত্বনা দেয়ার নেইও কেউ। আইয়ুব বাচ্চুকে হারানো শোক উপস্থিত সবাইকে পাথর করে রেখেছে।-জাগোনিউজ২৪