মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় এক প্রীতি ম্যাচে চিরশত্রু আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। ম্যাচটাতে ১-০ গোলের জয়ও পেয়েছে ব্রাজিল। চিরশত্রুদের বিপক্ষে মধুর জয় পাওয়ার ম্যাচটা বিশেষ একটা কীর্তি গড়েছেন নেইমার। না, নেইমার গোল করেননি। ব্রাজিলের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটা করেছেন ডিফেন্ডার হোয়াও মিরান্ডা। তবে মিরান্ডা গোলটা করেছেন নেইমারের পাস থেকে। মানে নেইমারের নেওয়া কর্নার থেকে হেড করে।
মিরান্ডার এই গোলটাতে অ্যাসিস্ট করার মধ্যে দিয়েই বিশেষ এক সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন নেইমার। গোল ও অ্যাসিস্টের ‘সেঞ্চুরি’! মঙ্গলবারের এই অ্যাসিস্টটা ছিল ব্রাজিল জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেইমারের ৪১তম অ্যাসিস্ট। মানে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এ নিয়ে ৪১টি গোলে পরোক্ষ অবদান রাখলেন নেইমার। এর সঙ্গে নিজে করেছেন ব্রাজিলের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৯টি গোল। গোল ও অ্যাসিস্ট মিলে তাই পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে।
ম্যাচ চলাকালীন সময়ে নেইমারের বিশেষ এই কীর্তিটি নজরেই পড়েনি সাংবাদিকদের। এমনকি ফুটবল পরিসংখ্যানবিদরাও তৎক্ষণাত অবগত হতে পারে। পরিসংখ্যানের পাতা ঘেটে কীর্তির কথাটা তারা জানতে পেরেছে পরে।
২০১১ সালে অভিষেকের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ৯৪টি ম্যাচ খেলেছেন নেইমার। আর তাতেই গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে করে ফেললেন সেঞ্চুরি। এই পরিসংখ্যানই বলছে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কতটা দুর্বার গতিতে ছুটছেন তিনি। এমনি এমনি তো আর ব্রাজিলিয়ানদের নয়নের মণি হননি।
শুধু জাতীয় দলের জার্সি গায়েই নয়, ক্লাবের জার্সি গায়েও নেইমারের গোল-অ্যাসিস্টের পরিসংখ্যানটা অবিশ্বাস্য। ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে খেলেছেন মোট ৫৪৪টি ম্যাচ। তাতে গোল করেছেন ৩৩৯টি, অ্যাসিস্ট ১৮৭টি।
মানে ক্লাবের হয়ে মোট ৪৫০ ম্যাচে করেছেন ২৮০টি গোল আর ১৪৬টি অ্যাসিস্ট। এর মধ্যে ক্লাব সান্তোসের হয়ে ২২৩ ম্যাচে করেছেন ১৩৬ গোল ও ৬৫টি অ্যাসিস্ট। বার্সেলোনার হয়ে করেছেন ১৮৬ ম্যাচে ১০৫ গোল ও ৫৯টি অ্যাসিস্ট। বর্তমান ক্লাব পিএসজির হয়ে ৪১ ম্যাচেই গোল করেছেন ৩৯টি। সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেছেন ২২টি।
এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে-গোল করা এবং সতীর্থদের করানো. দুটোতেই বিশেষ দক্ষ ব্রাজিল তারকা।