প্রথমে আঘাত হেনেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার কার কাটারে উড়ে গিয়েছিল জুয়াইউর স্ট্যাম্প। এরপর তার দেখাদেখি জিম্বাবুইয়ানদের ওপর ঘূর্ণির মায়াজাল বিস্তার করেছেন স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। তার ঘূর্ণিতে পড়ে আরও তিনটি উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। যদিও এর মধ্যে একটি ছিল রানআউট।
২৭২ রানের লড়াকু চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের বোলাররা রয়েছেন অসাধারণ ফর্মে। এশিয়া কাপেই প্রমাণ হয়েছে। সে কারণে ২৭২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ার পর জয়ই আশা করতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু জবাব দিতে নেমে জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার তো শুরু থেকে রীতিমত বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন।
দুই ওপেনার অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এবং চেপাস জুয়াইউ মিলে ৪৩ বলেই গড়ে ফেলেন ৪৮ রানের জুটি। যেন টি-টোয়েন্টি খেলা শুরু করেছিলেন তারা দু’জন। মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং মেহেদী হাসান মিরাজ শুরু করেছিলেন বোলিং আক্রমণ।
কিন্তু দু’জন তো কোনো সাফল্য পাচ্ছিলেনই না। বরং, তাদেরকে পিটিয়ে বার বার মাঠছাড়া করছিলেন দু’জন। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানকে ডেকে আনতে বাধ্য হন মাশরাফি। বোলিংয়ে এসে প্রথমটি দিয়েছিলেন ওয়াইড। পরের বলেই চেপাস জুয়াইউর স্ট্যাম্পই উড়িয়ে নিলেন বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার।
বলটা উইকেটে পিচ করে সাপের মত ব্যাট এবং প্যাডের মাঝের ফাঁকা জায়গা খুঁজে নিয়ে সোজা আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। জুয়াইউর অফ স্ট্যাম্পে বল লেগে সেটা উড়েই গিয়েছিল। বার কয়েক গোত্তা খেয়ে গিয়ে সেই স্ট্যাম্প থামে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের সামনে। ২৪ বলে ৩৫ রান করে আউট হয়ে যান চেপাস জুয়াইউ।
এরপর মাসাকাদজার সঙ্গে জুটি বাধতে আসেন ব্রেন্ডন টেলর। যিনি উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ৫টি ক্যাচ নিয়েছিলেন আজ। তবে খুব বেশিক্ষণ নয়, ১১ রানের জুটি গড়ার পর স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ১৩ বল খেলে করেছেন মাত্র ৫ রান।
এরপর কোনো ব্যাটসম্যানই আর সুবিধা করতে পারেননি। অপুর পর মিরাজের ঘুর্নিতে একের পর এক উইকেট হারিয়ে অলআউটের পথে হাটতে থাকে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেখান থেকে ১০ উইকেটের পার্টনারশিপে আবারো ঘুড়ে দাড়ানোর চেষ্টা জিম্বাবুয়ে। এক সময়ে ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৩ রান। কিন্তু সেই লক্ষ্যে আর পূরণ করা সম্ভব হয়নি। উইলিয়ামস-জার্ভিসের। শেষ মেষ ২৮ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।