৩ উইকেটে ১৩৭ থেকে ৬ উইকেটে হয়ে গেলো ১৩৯ রান। সত্যিকার ব্যাটিং বিপর্যয়েই পড়ে গেলো বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতি উত্তরণ কিভাবে ঘটবে- এমন চিন্তায় যখন পুরো গ্যালারি পেরেশান, তখনই ইমরুলের সঙ্গে জুটি বাধলেন আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাইফউদ্দিন। মিনি অলরাউন্ডার খ্যাত সাইফ মাঝে-মধ্যে ব্যাট হাতে ভালো করেন এমন শোনা গেলেও আগের ম্যাচগুলোতে তাকে সে চেহারায় দেখা যায়নি।
কঠিন উইকেটেও ওপেনার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন তিনি। ম্যাচ শেষে তরুণ সাইফুদ্দিনকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি ইমরুল।
জানান, ‘আলোচনা ছিল একটু আত্মবিশ্বাস দেওয়া। আর কিছু না। উইকেটে ওই সময় একটু কঠিন ছিল। আমি বলছিলাম যে তেমন কিছু না, একদম নরম্যাল হচ্ছে।
‘আমি যদি বলি যে সুইং হচ্ছে বা টার্ন হচ্ছে, তাহলে ওদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য বলেছি যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মতো মনে করে খেল, কোনো সমস্যা নেই।’
বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা পালন করেছে ইমরুল এবং সাইফুদ্দিনের ১২৭ রানের দারুণ এক জুটি। এই জুটিতে ইমরুলও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।
সেঞ্চুরি তুলে ইমরুল যেমন প্রথমবারের মতো দেড়শ রানের কাছাকাছি গিয়েছেন, তেমন করে ক্যারিয়ারে প্রথম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন সাইফুদ্দিন। যদিও দীর্ঘদিন পরে দলে ফেরা সাইফুদ্দিনের জন্য কাজটা সহজ ছিল না।
‘সাইফ উদ্দিন অনেক দিন পর দলে ফিরেছে। ওই পরিস্থিতিতে যেভাবে ব্যাট করেছে, অবশ্যই ওকে কৃতিত্ব দেব। তরুণ একটা ছেলে, চাপটা খুব ভালো সামলেছে। আমি ওর সঙ্গে খেলার সময় কথা বলছিলাম অনেক। শুরুতে একটু নার্ভাস ছিল, পরে ঠিক হয়ে গেছে।’
জাতীয় দলে নিয়মিতই পারফর্ম করতে দেখা যায় সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারকে। এসব ম্যাচে সাইফুদ্দিনের আত্মবিশ্বাসী পারফর্মেন্স অন্যান্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন ইমরুল।
‘এভাবে মনে হয় যে আস্তে আস্তে তরুণরা বুঝতে পারছে যে দলের কি দরকার, কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হয়। যখন ৫ জন থাকবে না, ওরা হয়ত আরও পরিণত হবে। আরও ভালো ভাবে সামলাতে পারবে এই ধরণের পরিস্থিতি।’