ফিক্সিংয়ের দায়ে ১০ বছর নিষিদ্ধ নাসির জামশেদ
পাকিস্তানের ক্রিকেট আর ম্যাচ ফিক্সিং যেন হাত ধরাধরি করে হাঁটে। ফিক্সাররা ধরাও পড়ে, সাজাও হয়। কিন্তু ফিক্সিং চলতেই থাকে। এবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওপেনার নাসির জামশেদকে সোমবার ১০ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট ট্রাইব্যুনাল।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্বিতীয় আসরেই ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হন ২৮ বছর বয়সি জামশেদ সহ ৬ ক্রিকেটার। গত আগস্টে গঠিত দুর্নীতি বিরোধী ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ এনে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আদালতের এই রায়ের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি জানায়, 'স্বাধীন বিচার বিভাগের আনীত এই নিষেধাজ্ঞা সঠিক এবং সমর্থনযোগ্য। এটি অব্যহত থাকবে।'
এর আগে ফিক্সিংয়ের তদন্ত কাজে সহযোগিতা না করায় গত ডিসেম্বরে প্রথম দফায় ১২ মাসের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করেছিল ট্রাইব্যুনাল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্টিত পিএসএলের ম্যাচে অন্য খেলোয়াড়দেরও ম্যাচ ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর কাজে ভুমিকা রেখেছে বলে অভিযোগ আছে জামশেদের বিরুদ্ধে।
স্পট ফিক্সিং হচ্ছে খেলার সুনির্দিষ্ট একটি অংশকে প্রভাবিত করা। আর ম্যাচ ফিক্সিং হচ্ছে গোটা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করা। ২০১৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে দুটি টেস্ট, ৪৮টি ওয়ানডে এবং ১৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জামশেদ। অতিমাত্রায় মুটিয়ে যাওয়া এবং বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। ওই আসরে ৩ ম্যাচে মাত্র ৫ রান করেছিলেন তিনি।
পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ট্রাইব্যুনালে নিষিদ্ধ হওয়া অন্য ক্রিকেটাররা হলেন- শারজিল খান (৫ বছর), খালিদ লতিফ (৫ বছর), মোহাম্মদ ইরফান (১ বছর) এবং মোহাম্মদ নেওয়াজ (২ মাস)।