নিউজ ডেস্ক,শুক্রবার,২৬ অক্টোবর ২০১৮:
রাজধানীর পোস্তগোলায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর টোল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও দুই শ্রমিক। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ এখনও দফায় দফায় চলছে। আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৮টায় পোস্তগোলা ব্রিজে টোল বাড়ানোকে কেন্দ্র করে টোল প্লাজায় কর্মরতদের সঙ্গে ট্রাক শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ এ সংঘর্ষ থামাতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে পুলিশ।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া ব্রেকিংনিউজকে জানান, হাসপাতালে বর্তমানে আহত দুজনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, এই সেতুতে আগে ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। গত ২২ অক্টোবর সেই টোল বাড়িয়ে করা হয় ২৪০ টাকা। হঠাৎ করে এত বেশি টোল বাড়ানোয় তারা বিপাকে পড়েছেন। বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত এ সেতুর টোল বাড়ানোর প্রতিবাদে ২০১৫ সালে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে তিন দিন যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে টোল নেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দুপুর ১২টার দিকে যানচলাচল শুরু হয় এই সেতুতে। তবে এখনও পোস্তগোলা ব্রিজ এলাকায় প্রচুর পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। শ্রমিকরাও অবস্থান নিয়ে আছেন ওই এলাকায়।