ধর্ম ডেস্ক,শুক্রবার,২ নভেম্বর ২০১৮:
শুক্রবার মানেই জুমআ নামাজ আদায়ের দিন। মুসলিম জাহানের জন্য জুমআর নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর মর্যাদার কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, ‘যারা এ দিনের হক আদায় করবে, নামাজসহ বিশেষ আমলগুলো করবে তাদের মর্যাদাও হবে অন্য জিন ও ইনসানের তুলনায় অনেক বেশি।’
হাদিস শরীফে নবীজির (সা.) দেয়া জুমআর মর্যাদার কথা বর্ণনা করেছেন সাহাবী হজরত আবু মুসা আল-আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু। তাঁর বর্ণিত (ইবনে খুজায়মা, মুসতাদরেকে হাকেম) হাদিস থেকে পাওয়া যায় জুমআ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন (দুনিয়ার) দিনসমূহকে তার আকৃতিতে পুনরুত্থিত করবেন। আর জুমআর দিনকে উপস্থাপন করা হবে উজ্জ্বল আলোকময় করে। আর যারা জুমআর নামাজ আদায় করেছে, তারা জুমআর দিনকে নববধূর মতো করে ঘিরে রাখবে, যেন তার বরকে (দিনটি) হাদিয়া দেয়া হয়েছে। সে (জুমআর দিন) তাদেরকে (জুমআর নামাজ আদায়কারীকে) আলো দান করবে। তারা সে আলোতে চলতে থাকবে।’
এছাড়া হাদিসটিতে বলা হয়, ‘তাদের (নামাজিদের) রং হবে বরফের মতো সাদা। তাদের ঘ্রান মিশকের ঘ্রানের মতো ছড়িয়ে পড়বে। তারা কর্পুরের পাহাড়ে আরোহন করবে। মানুষ এবং জ্বিন তাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে যতক্ষণ না তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। যে মুয়াজ্জিন সাওয়াবের আশায় আজান দিয়েছে তারা ব্যতিত অন্য কেউ তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।’
মহান রাব্বুল আলামিন মুসলিম উম্মাহকে জামআর দিনের বিশেষ আমল ও মর্যাদার প্রতি গুরুত্ব দেয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত মর্যাদা দান করুন। আমিন।