ক্রীড়া প্রতিবেদক-
শনিবার, ০৩ নভেম্বর ২০১৮:
আক্তারুজ্জামান : তিন বছর পর আবারও শিরোপা পুনরুদ্ধার করলো বাংলাদেশের কিশোরেরা। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পাকিস্তানকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছে মেহেদি হাসানরা। সেমিফাইনালের নায়ক গোলরক্ষকই ছিলেন আজকের ফাইনালের শিরোপা জয়েরও নায়ক। ২০১৫ সাফের পর আবারো শিরোপা জয় করলো বাংলাদেশের কিশোররা। ভারতকে হারানোর পর তুলে রাখা উল্লাসটা শিরোপা জয়ের পরই করলো মেহেদি, আশিক, নিহাত ও রাসেলরা।
নেপালের আনফা স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচটিতে কি ছিল না! শক্তিশালী পাকিস্তানের সামনে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। একেবারে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। পুরো ম্যাচজুড়ে সেটা ভালোভাবেই দেখা গেছে। যার ফলে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের সমতায়। সেমিফাইনালের নায়ক গোলরক্ষক মেহেদি ফাইনালে যেন আরও বড় নায়ক বনে গেলেন!
সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ালে সেখানেই বীরত্ব ফুটে ওঠে মেহেদির। এদিন তিনটি স্পট কিক ঠেকিয়ে পাকিস্তানি কিশোরদের খালি হাতেই বাড়ি পাঠালেন মেহেদি। তবে অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন কোচ পারভেজ বাবু। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে দলের মূল গোলরক্ষক মিতুলের বদলী হিসেবে নামে মেহেদি। সেমিফাইনালে পুরো সময় গোলবার সামলানো এবং দলকে ফাইনালে তোলার নায়ক এদিন কোচের আস্থার পূর্ণ প্রতিদানও দিয়েছেন।
প্রথম স্পট কিক নিতে আসা রাজন বল পাঠিয়ে দেন জালের অনেক উপর দিয়ে। দলে হতাশার ছাপ ফুটে উঠলেও আগের চেহারা ফিরিয়ে আনে মেহেদি। পাকিস্তানের টানা দুইটি স্পটকিক ঠেকালে আশার হালে পানি পায় বাংলাদেশ। এরপর শেষ কিকে রবিউলের শট যখন পাকিস্তানের গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেন তখন পুরো দায়িত্ব পড়ে মেহেদির ওপর। সেই দায়িত্ব পালনে এতটুকুও খাদ রাখেনি মেহেদি। বল তো ঠেকালেনই সেই সঙ্গে দেশকে ভাসালেন শিরোপা জয়ের আনন্দের বন্যায়।
যদিও ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেরে হাতে রেখেছিল বাংলাদেশ। ২৫ মিনিটে কর্নার কিক থেকে আসা বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
কিন্তু বিরতির পর ফিরে এসে হঠাৎ শাস্তি পাওয়ায় পেনাল্টিতে গোল করে সমতায় ফেরে পাকিস্তান। এরপর জোর প্রচেষ্টা চালিয়েও গোল করতে পারেনি দু’দল। বাংলাদেশ বারবার আক্রমন করলেও গোল পায়নি। পাকিস্তানি গোলরক্ষকের দুরন্ত সেভে ব্যর্থ হয় নিহাত জামানদের অসাধারণ কিছু শট। ম্যাচ চলাকালে জাল বাঁচালেও স্পট কিক থেকে দলের হার ঠেকাতে পারেনি পাকিস্তান।