নিজস্ব প্রতিবেদক-রবিবার, ০৪ নভেম্বর ২০১৮:
দেশব্যাপী বইছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ হাওয়া লেগেছে মিডিয়া তারকাদের গায়েও। তাদের মধ্যে অনেকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন।
এরই মধ্যে অনেক তারকা নিজের নির্বাচনী এলাকায় চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা ও সমাবেশ। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বৃহৎ দল বিএনপি মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারকাদের দিকে বিশেষ মনোযোগী হচ্ছে।
যদিও বিএনপি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবুও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান নির্মাতা, নায়ক-নায়িকা ও নাট্যাভিনেতারা চাইছেন বিভিন্ন দলের টিকিট।
এমনই একজন জ্যোতিকা জ্যোতি। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বড় পর্দায়ও সফল তিনি। বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন জ্যোতি। এসব সিনেমাতে তার ভিন্নমাত্রার অভিনয় দর্শক ও সমালোচক মহল থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে। জ্যোতি অভিনেত্রী হলেও একজন প্রতিবাদী নারী। যখনই অন্যায় দেখেছেন রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছেন। এর আগে জ্যোতিকে দেখা গেছে শাহবাগসহ বিভিন্ন আন্দোলনে। সমাজের বিভিন্ন ধরনের অসংগতিতেও তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে সরব হতে দেখা গেছে। পাশাপাশি মৌলবাদের বিরুদ্ধেও এ অভিনেত্রী সোচ্চার হয়েছেন বিভিন্ন সময়।
এদিকে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হয়। ওই আসনে নির্বাচনের লড়াইয়ে আগ্রহী প্রার্থী ছিলেন জ্যোতি। যদিও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি তিনি।
এবার তিনি এ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। নির্বাচনী তৎপরতাও শুরু করেছেন তিনি। এ আসনের বর্তমান এমপি চলতি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, ‘আসলে ময়মনসিংহের মানুষ আমাকে খুব ভালোবাসে। সব সময় সব কাজে তারা আমাকে পাশে চায়। সত্যি বলতে আমার জেলার মানুষের পাশে থাকতে আমার অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আমি জেলার মানুষের পাশে থাকতে চাই। সেটা রাজনীতির মাধ্যমেও হতে পারে।’
রাজনীতিতে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘এলাকার মানুষজনও চান আমি রাজনীতিতে আসি। তাদের জেলার প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিই। আমি চাই তাদের প্রত্যাশা যেন নষ্ট না হয়।’
একাদশ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জ্যোতি বলেন, এককভাবে যতটা সম্ভব নিজের এলাকার সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজে মানুষের পাশে থাকছি। এখন দলীয়ভাবে কিছু করার সুযোগ পেলে এ প্রচেষ্টা আরও গতিশীল হবে। ছোটবেলাতেই সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কৈশোর থেকেই তার স্বপ্ন ছিল একজন বড়মাপের অভিনেত্রী হওয়ার। ময়মনসিংহে একবার স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হলো। জ্যোতি অভিনয় করলেন। জ্যোতির অভিনয় দেখে একজন তাকে বললেন, ‘কবরী আয়না নামের একটি সিনেমা বানাবেন। যোগাযোগ করে দেখতে পারো।’
জ্যোতি যেন কিছুটা আশার আলো খুঁজে পেলেন। কবরী তাকে একটি চরিত্রের জন্য নির্বাচন করলেন। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে জ্যোতি নজর কাড়েন অনেকেরই।