খন্দকার শাহিন | শুক্রবার,১৬ নভেম্বর ২০১৮:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসন থেকে এমপি হতে চায় প্রবাসী সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম জুয়েল। সাক্ষাতকারে তিনি নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন- পারিবারিক ভাবে তাদের কেউ রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। স্কুল জীবনে তিনি খুব মেধাবী ছাত্র ছিলেন তাই পারিবারিক চাপে রাজনীতির দিকে চোখ দেয়ার সুযোগ পাননি। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে প্রবাসে। পড়ালেখা শেষ করে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে পত্রিকাশিত ‘আমাদের বাংলাদেশ’ নামে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়নের নোয়াবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রাশিদুল ইসলাম জুয়েল। বাবা আলহাজ্ব আবদুস সালাম একজন ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। পরিবারে দুই ভাই বোনের মাঝে তিনিই বড়।
এমপি হতে চান কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহান জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব করার মত কেউ নেই। তিনি দেশী-বিদেশী মিডিয়ায় প্রবাসীদের নিয়ে কথা বলেন। প্রবাস জীবনের শুরু থেকেই মানুষের জীবন সংগ্রাম দেখে বিবেকের তাড়নায় প্রবাসীদের পক্ষ হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার উদ্দেশ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে জমা দিয়েছেন তিনি।
আপনি কি এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে অভিষেক হচ্ছেন নাকি আগে থেকেই কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত?
জুয়েল বলেন, এক সময় রাজনীতি থেকে অনেক দূরে ছিলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা দেখছি রাজনীতি পরিবার কেন্দ্রিক বা ব্যাক্তি বিশেষ কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। এখন যোগ্যদের কেউ রাজনীতিতে আসতে চায়না কারণ বর্তমানে দেশে প্রতিযোগিতার রাজনীতি নেই, প্রতিহিংসার রাজনীতি বিদ্যমান। দলীয় পছন্দ বলতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)'র প্রতি সেই ছোট সময় থেকে অন্যরকম একটা টান ছিলো এবং এখনো আছে। বর্তমানে বিএনপি সহ অনেকগুলো রাজনীতিক দল ও সুশীল সমাজ একসাথে হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। আশা করি দেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল রাজনীতি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
নরসিংদী-০৫ আসনে আপনার জনপ্রিয়তা কেমন?
জুয়েল বলেন, ভোটের রাজনীতিতে আমি নতুন এসেছি; কিন্তু প্রবাসে থেকে সামাজিক উনয়নমূলক অনেক কাজের সাথে সম্পৃক্ত আছি। আমার নিজ এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা আছে। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তা ভোটের মাধ্যমে প্রমাণ হবে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন যদি অন্য কাউকে দেয় তাহলে আপনার ভূমিকা কি? জুয়েল বলেন,দল যাকে মনোনয়ন দেয় আমি তার পক্ষ হয়েই কাজ করবো।
আপনার অবস্থান নির্বাচনি এলাকায় বেশী না প্রবাসে?
জুয়েল বলেন, প্রবাসে সময়টা বেশী কাটে। তবে কিছুদিন পর পর দেশে আসা হয়। তিনি আরো বলেন দেশের প্রতি আমার অন্যরকম একটা অনুভূতি সবসময় কাজ করে। সবসময় দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি। সর্বোপরি, রাজনীতিতে তৃণমূল থেকে জনগণের আরো কাছে আসতে চান তিনি।
পরিশেষে রাশিদুল ইসলাম জয়েল বলেন, বাংলার ভেনিস বলে পরিচিত রায়পুরা উপজেলা নরসিংদী জেলার সবচেয়ে অবহেলিত এক জনপদ। অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উপজেলা সবদিক দিয়েই পিছিয়ে রয়েছে। এখনও তেমন লক্ষণীয় অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি। আমার এই উপজেলার যুব সম্প্রদায়ের এক বৃহত্তর অংশ বেকারত্বের অভিশাপে অভিশপ্ত। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এই জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও এখানে আশানুরূপ শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেনি। এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। তাই অবহেলিত বৃহত্তর রায়পুরাবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের কাছে তিনি সমর্থন প্রত্যাশী।