নিউজ ডেস্ক, রবিবার,১৮ নভেম্বর ২০১৮:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দণ্ডিত ও পলাতক আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি-না, তা খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান একজন দণ্ডিত অপরাধী। তিনি পলাতক। তিনি একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। তারেক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি না? একটা দিক হচ্ছে, আমি জাতির কাছে এর বিচার চাইছি। আরেকটা হচ্ছে, ইলেকশন কমিশনের কাছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দু’টি মামলায় একটিতে সাত বছর এবং আরেকটিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত একজন পলাতক আসামী (তারেক রহমান), যিনি বিদেশে আছেন, এভাবে ভিডিও কনফারেন্স করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন কি-না, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারেকের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া কতটা সংগতিপূর্ণ তা আপনারা খতিয়ে দেখবেন।’
দলের মনোনয়ন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রায় চূড়ান্ত। বর্তমানে যাঁরা সংসদ সদস্য আছেন, তাদের থেকে খুব বেশি বাদ পড়বেন না। আমাদের মধ্যে যারা জয়ী হওয়ার মতো না তাদের বাদ দিতে দ্বিধা করব না। জরিপ অনুযায়ী যারা এগিয়ে আছেন তাদের মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের নাম আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যেই ঘোষণা হবে। ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে লড়াইয়ের জন্য জোটের শরিকদের দেওয়া হবে ৬০-৬৫টি আসন। ১৪ দলে যারা সংসদ সদস্য আছেন তারাও মনোনয়ন পাবেন এবং জোটের অন্য শরিকেরা যারা সংসদ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রাখেন তারাও মনোনয়ন পাবেন।