নিউজ ডেস্ক,বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর ২০১৮:
রাজধানীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ (১২-১৭ রবিউল আউয়াল) উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে বুধবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ধানমন্ডিস্থ ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তন ৭১ এ এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) : রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের নবী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এন.এম মেশকাত উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যাটাসে জনাব মাহদী তোরাবী মেহরাবানী। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকাহ একাডেমির বাংলাদেশস্থ স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল্লাহ আল মারুফ।
স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ মাহদী হোসেইনী ফায়েক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ নূর-এ মদীনা মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ মুখতার রেযা মাসুমী ও বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক আবদুল কুদ্দুস বাদশা।
বক্তারা বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উত্তম চরিত্র ও সমস্ত সৃষ্টিকুলের জন্য রহমতস্বরূপ হওয়ায় তিনি সর্বকালের সমস্ত মানুষের জন্য আদর্শ। সর্বোত্তম ও সবচেয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে মানবতার জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু, আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। তাঁর মহিমা ও মহানুভবতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, মহান আল্লাহ তাঁকে মহৎ গুণ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হিসাবে প্রশংসা করেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্বশান্তির বিষয়টি যখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে তখন রাসূলের জীবন থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। রাসূলের জীবনীর প্রতি দৃষ্টি দিলে এই বাস্তবতাই স্পষ্ট হয় যে, ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বান এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামের বিস্তৃতি ও গোমরাহী থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়াই ছিল রাসূলের প্রধান কাজ।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে দলীয়ভাবে নাত-এ রাসূল পরিবেশন করেন আল মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখার একদল ছাত্র এবং একক কণ্ঠে নাত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী শাহ নওয়াজ তাবীব, মেহেদী হাসান ও আলী মোহাম্মদ মেহেদী হোসেন।