ময়মনসিংহ-
সোমবার,২৬ নভেম্বর ২০১৮:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও উপজেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা মোড় এলাকায় ককটেল ফাটিয়ে তাণ্ডব চালানো হয়। রবিবার (২৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন না পেয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুছ ছাত্তারের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ জাপা নেতাকর্মীদের।
হামলার সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও জাপা অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল ছুড়েছে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, হামলায় জাতীয় পার্টির তিন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এর আগে, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা চৌরাস্তা মোড়ে ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’র ব্যানারে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আব্দুছ ছাত্তারের সমর্থকরা। পরে রাত ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস ছাত্তারের সমর্থকরা পৌর সদরের পশু হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জাতীয় পার্টির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। তখন জাপার কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছুড়তে থাকে। এসময় কার্যালয়ের সামনে থাকা দুইটি মোটরসাইেকল ও পাশের বাসায় থাকা আরেকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। পরে জাপা সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে মুক্তিযোদ্ধা মোড় এলাকায় এসে আরও কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়া হয়েছে। পৌর সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় মহাসড়ক বন্ধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করেন আব্দুছ ছাত্তারের সমর্থিত নেতাকর্মীরা।