খন্দকার শাহিন- বৃহস্পতিবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮:
নরসিংদীতে চৌয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ভেঙে আধাপাকা ক্লাব ঘর নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘর নির্মাণে ব্যাবহার করা হয়েছে রিলিফের ঢেউটিন। সদর উপজেলারর মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জমিদাতা ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে সভাপতি আলাবক্স জানান, বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে শহীদ মিনার নির্মানের জমি দখল করে ক্লাবঘর নির্মাণ করা হয়ছে।
তিনি আরো জানান, সীমানা প্রাচীর ভেঙে নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ক্যাম্প তৈরির নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা স্থায়ীভাবে আধাপাকা টিনের ঘর নির্মাণ করে।
এ ব্যাপার পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত ৯ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন একটি চিঠি পাঠান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, নরসিংদী সদর উপজেলার ৬৭ নম্বর চৌয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় স্কুলের জমিতে জোর করে ক্লাব তৈরি শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তারা স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভেঙে গত ৭ ডিসেম্বর ক্লাবের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধা দিলে তারা ক্ষমতার বলে অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করে, ভয়ভীতি দেখায় এবং হুমকি দেয়। এভাবে স্কুলের মাঠে ভবন নির্মাণ করায় স্কুলের শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও খেলাধুলা বিঘ্নিত হচ্ছে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়।
এ অবস্থায় স্কুলের সীমানা নির্ধারণ এবং ক্লাবঘর নির্মাণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিটি পাওয়ার পর নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম জামেরী হাসান জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের জায়গাটি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ৬৭ নং চৌয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, এখানে ক্লাবের জন্য ঘর বানানো শুরু করলে প্রথমে আমরা তাদের বাধা দেই। কিন্তু কথা শোনেনি। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তাদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী মহোদয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি।
বিষয়টি জানতে চাইলে নরসিংদী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল ফজল জানান, স্কুলের কমিটির লোকজন শিক্ষা অফিসে এসেছিল। স্কুলের জমিদাতা এবং স্কুল কমিটির সভাপতি এসেছিলেন। তারা বলেছেন এটা সরিয়ে নেবেন।