স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | শুক্রবার,১৪ ডিসেম্বর ২০১৮:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পমাল্য অর্পণ ছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রের দুই শীর্ষ কর্তাব্যক্তির পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। দিবসটি উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে শহিদ পরিবারের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকাল ৭টা ২২ মিনিটে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এ দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালি জাতিকে মেধা শূণ্য করার লক্ষ্যে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
তারা অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, উপন্যাসিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সুরকার আলতাফ মাহমুদ, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এসএ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেককে হত্যা করে।
বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। অভ্যুদয়ং হয় স্বাধীন বাংলাদেশের।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৩টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলতনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে নানা রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি সংগঠন শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা, মৌন মিছিল বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা সভাসহ একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।