খন্দকার শাহিন- মঙ্গলবার,১৮ ডিসেম্বর ২০১৮:
নরসিংদীতে প্রবাসী মালিকানাধীন টি,এস,এম টেকনোলজি এ্যান্ড ডেইরি ফার্ম লিমিটেডের এগ্রো প্রকল্পের প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাঁধা ও জমি দখলের অভিযোগ করেছে সাইদুর রহমান পারভেজ নামের এক প্রবাসী। বাঁধা দেওয়ার কারনে গত তিনদিন ধরে প্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলার মাধবদী থানাধীন পাঁচদোনার কবিরাজপুরের এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান বাদি হয়ে মাধবদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট লোকজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া এলাকার প্রবাসী সাইদুর রহমান পারভেজ নরসিংদী সদর উপজেলার কবিরাজপুর এলাকায় (ড্রীম হলিডে পার্কের পাশে) ১১৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে টি,এস,এম টেকনোলজি এ্যান্ড ডেইরি ফার্ম লিমিটেড নামের একটি এগ্রো প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের নিরাপত্তার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করতে গেলে স্থানীয় ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মাঈন উদ্দিন লোকজন নিয়ে বাঁধা দেন। সম্প্রতি তিনি ওই প্রকল্পের উত্তর পশ্চিম অংশের প্রায় ১০ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাঈন উদ্দিন ১০/১২ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন নিয়ে নির্মান কাজে বাঁধা দেন। পাশাপাশি উনাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা কওে নির্মাণ কাজ করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা প্রকল্পে কাজ বন্ধ করে দিবেন এবং মারমিট করে এলাকা ছাড়া করবেন বলে হুমকি দেন।
এরপর থেকে গত তিনদিন ধরে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে মাধবদী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন।
এব্যাপারে প্রকল্পের মালিক প্রবাসি সাইদুর রহমান পারভেজ বলেন, প্রবাসে পরিশ্রম করে রেমিটেন্স উপার্জনের অর্থ দেশে উৎপাদনমুখী প্রকল্পে বিনিয়োগ করছি শুধুমাত্র স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে। কিন্তু সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাঁধার মুখে যদি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমি স্থানীয় বসিন্দা না হওয়ায় মূলত তাঁরা হয়রানি করছে।
প্রকল্পে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে মাঈন উদ্দিন বলেন, আমি কারও প্রকল্পে বাঁধা দেইনি আর হুমকিও দেইনি। উনার প্রকল্পের পাশে আমার জায়গা। তাই তা মাপামাপি করে কাজ করার জন্য বলেছি।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘এব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।