নিউজ ডেস্ক | মঙ্গলবার,২৫ ডিসেম্বর ২০১৮:
নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে কোনো কোনো দল ও প্রার্থী অভিযোগ তুলছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
বড়দিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বনানী ২৭নং সড়কস্থ ক্যাথলিক চার্চ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এটা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক কৌশল। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। দেশ ও জনগণের জন্যই আমরা কাজ করব, করছি। আশ্বস্ত করছি যে, যেসব অভিযোগগুলো সত্য সেসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মহানগর এলাকায় নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি টিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে সর্বতোভাবে প্রস্তুত রয়েছি। আমরা যদি তুলনা করি, পূর্বের তুলনায় ঢাকায় সহিংসতা ও গোলযোগ খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নগরবাসীও বাংলাদেশের সব নাগরিককে বার্তা দিতে চাই, অত্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে ও সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্যদিয়ে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে কাউকে যেন বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয় সেজন্য আমরা ও সশস্ত্র বাহিনী তৎপর রয়েছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের প্রস্তুতি সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।’
বারবার প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন তাদের নির্বাচনী কাজে যেতে দেয়া হচ্ছে না, বাধা দেয়া হচ্ছে ও অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে-এমন অভিযোগ সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা অভিযোগ দিতে পারেন, সে ব্যাপারে আমরা বিতর্ক করব না। কারণ আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমরা দেশের সংবিধান ও আইনের আলোকে করে থাকি। নানা জনের নানা ধরনের অভিযোগ করতে পারে। আমি মনে করি, এটি বিরোধীপক্ষ, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসনকে চাপের মুখে রাখার একটি কৌশল। কোনো কোনো দলের এটি স্ট্র্যাটেজি বলেও আমি মনে করি।’