নিউজ ডেস্ক | বুধবার,২৬ ডিসেম্বর ২০১৮:
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ড. এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের প্রধানদের নিয়ে নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করেছিলেন। পরে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এক মঞ্চে জনগণের মুখোমুখী করে সব মহলের প্রশংসা কুড়ায় ড. হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন। তবে এবার প্রথমে পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমান কমিশন এ সংলাপ আয়োজন থেকে সরে এসেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সংলাপ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে নির্বাচনী সংলাপ না করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ইসি।
জানা গেছে, নির্বাচনী সংলাপ করতে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকেই সমান সুযোগ দিতে হয়। সব দলকে নিয়ে একই দিনে একই মঞ্চে এ ধরনের অনুষ্ঠান করতে হলে কমপক্ষে ৩৯ জনকে এক মঞ্চে ডাকতে হতো। কারণ, ইসির সঙ্গে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা এখন ৩৯।
এছাড়া সব নিবন্ধিত দলই সব দলের সঙ্গে একই মঞ্চে বসবে কিনা তা নিয়েও ইসির মধ্যে সংশয় ছিল। সব দলের জনভিত্তিও সমান নয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো বড় দলগুলো ‘এক নেতা এক দল’র মতো ছোট দলের সঙ্গে বসতে আপত্তি জানানোর জোর সম্ভাবনা ছিল। এসব বিষয় মাথায় রেখেই নির্বাচনী সংলাপ করার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে কে এম নূরুল হুদার কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি।