রাসেল খান,
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন অগ্নিসংযোগ, নাশকতা সহ যে কোন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মোকাবেলা করতে ’’দি লাইফ সেভিং ফোর্স’’ এর প্রায় ৬ হাজার সদস্য বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন টিমে মোতায়েন থেকে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ । তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সমন্বয় রেখে নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে । আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে মানবকন্ঠের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ, নির্বাচনের দিন দেশজুড়ে প্রায় ৬ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। যে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ও সাধারণ কেন্দ্র অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিমের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হলে নিজেদের করণীয় কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারিত এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম। এছাড়া সড়ক ও মহাসড়কে যে কোন ধরনের নাশকতা হলে সে বিষয়ে ও কর্মপরিকল্পনায় রয়েছে তাদের। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, দি লাইফ সেভিং ফোর্স ইতি মধ্যে নির্বাচন কার্য সুষ্ট ভাবে পরিচালনার জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে ফায়ার মনিটরিং ও সমন্বয় করা হয়েছে। প্রত্যেক সদস্যের এবিষয়ে কি করণীয় এবং তার অবস্থান সম্পর্কে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ আরো বলেন, ভোটের দিন সকাল ৭টায় দায়িত্ব শুরু করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সবাইকে কর্তব্য ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব বজায় রেখে যে কোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থলে ’’দি লাইফ সেভিং ফোর্স’’ এর সদস্যরা কাজ করবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, নির্বাচনের দিন ১ হাজার মোটরসাইকেলের মাধ্যমে টহল চলবে। পাশাপাশি ওয়াটার টেন্ডার, ফোর হুইলার, টু হুইলার সহ সর্ব শক্তি মাঠে থাকবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সকল সদস্যদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সড়কপথে যদি সহিংসতার ঘটনা ঘটে তাহলে সেনাবাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করা হবে বলে আজ জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও ফায়ার সার্ভিসের উন্নয়ন এবং সফলতার কথা উল্লেখ করে মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন,সারা দেশে বর্তমানে ৩৯৪ টি ফায়ার স্টেশন চালু আছে । তিনি বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি উপজেলায় অন্তত একটি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে ৪টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে মোট ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হবে ৫৪৯টি এবং জনবল হবে ১৫ হাজার এর অধিক।