ভোটের একদিন আগে আইনি নানা জটিলতায় শূন্য হয়ে যাওয়া আসনগুলোতে স্থানীয়ভাবে বিকল্প প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।
ঢাকা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন খন্দকার আবু আশফাক। উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে আইনি জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে গেছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। বিএনপি জোট তাকেই সমর্থন দিয়েছে।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে ঋণখেলাপির কারণে আফরোজা খান রীতার মনোনয়ন স্থগিত হয়েছে। সেখানে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সাবেক এমপি মফিজুল ইসলাম খান কামালকে।
চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন এম এ হান্নান। কিন্তু উচ্চ আদালতে তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে যায়। সেখানে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী লায়ন হারুন অর রশীদকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারী-৪ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল আমজাদ হোসেনকে। তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় পরে দলের বিকল্প প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
জামালপুর-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন রশিদুজ্জামান মিল্লাত। তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় ওই আসনে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে গণফোরামের ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হককে বিএনপির সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী করা হয় ফজলুর রহমানকে। উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে আইনি জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলেয়া বেগমকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
সিলেট-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিনী তাহসিনা রুশদীর লুনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি জটিলতায় সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েও তার প্রার্থিতা স্থগিত হয়। সেখানে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে মুকাব্বির খানকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।