ভারতের সেরা অভিনেত্রী জয়া আহসান
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার পত্রিকা প্রকাশ করেছে ভারতের এই বছরের সেরা অভিনেত্রীদের তালিকা। এই পত্রিকার বিচারে সেরা অভিনেত্রীদের তালিকায় উঠে এসেছে জয়া আহসানের নাম।
চলতি বছরের অক্টোবরে কলকাতায় মুক্তি পায় জয়া অভিনীত ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘এক যে ছিল রাজা’। সৃজিত মুখার্জির এই ছবিতে ‘মৃণ্ময়ী’ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।সমালোচকেরা বলেছেন করেছেন, ছবিটির অন্যতম সেরা প্রাপ্তি ছিল জয়ার অভিনয়। এই সিনেমাটির অভিনয় দিয়েই বছরের সেরা অভিনেত্রীর তালিকায় এসেছে তার নাম।
জয়া বলেন, ‘যেকোনো অর্জন শুধু স্বীকৃতি নয়, এটা আরও ভালো কাজ করার জন্য আমাকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা জোগায়। দেশের বাইরের একটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম থেকে এমন স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে অনেক বড় পাওয়া।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এ তালিকায় অন্য নারী অভিনেত্রীদের মাঝে আছেন বলিউড অভিনেত্রী তনুজা (সোনার পাহাড়), মমতা শঙ্কর (আহারে মন), চূর্ণী গাঙ্গুলি (দৃষ্টিকোণ), চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী (আহারে মন), পাওলি দাম (আহারে মন), সারা সেনগুপ্ত (উমা) ও শৌরসেনী মৈত্র (জেনারেশন আমি)।
জয়া আহসান বর্তমানে কলকাতায় ‘বিজয়া’র প্রচার ও একটি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে গত ১৯ অক্টোবর মুক্তি পায় জয়ার প্রথম প্রযোজিত সিনেমা ‘দেবী’ বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এদিকে সম্প্রতি জয়া তার দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘ফুড়ুৎ’-এর ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন – পাকিস্তানকে ‘গো হারা’ হারাল দক্ষিন আফ্রিকা
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১৮১ রানে। জবাব দিতে নেমে খুব স্বস্তিতে ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকাও। ১৮৯ রানে ৮ উইকেট হারানো দলটি টেনেটুনে যেতে পারে ২২৩ রান পর্যন্ত। প্রথম ইনিংসে লিড দাঁড়ায় ৪২ রানের।
জবাব দিতে নেমে একটা সময় ভীষণ ভালো অবস্থানে ছিল পাকিস্তান। ১ উইকেটেই তারা তুলে ফেলেছিল ১০১ রান। সেখান থেকে ডোয়াইন অলিভার, কাগিসো রাবাদা আর ডেল স্টেইনের ত্রিমুখী আক্রমণে ১৯০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
ওপেনার ইমাম উল হক হাফসেঞ্চুরি তুলে ফেরার পর ধ্বসের শুরু। আজহার আলি (০), আসাদ শফিক (৬), বাবর আজম (৬) আর সরফরাজ আহমেদ (০)-ভরসা করার মতো ব্যাটসম্যানরা ফিরে যান দুই অংক ছোঁয়ার আগেই।
একটা প্রান্ত ধরে লড়াই করছিলেন তিন নাম্বারে নামা শান মাসুদ। তিনি নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬৫ করে ডেল স্টেইনের শিকার হবার পর আর ৫ রান যোগ করে অলআউট হয় পাকিস্তান।
তৃতীয় দিনে ১৪৯ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের খাতায় কোনো রান যোগ না হতেই আঘাত হাসান আলির। এইডেন মার্করামকে শূন্য রানে এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
তবে দ্বিতীয় উইকেটে ডিন এলগার আর হাশিম আমলা ১১৯ রানের বড় জুটিতে পাকিস্তানের সব আশা ভরসা শেষ করে দেন। ৫০ করে এলগার শান মাসুদের শিকার হবার পর ইয়াসির আলি থিউনিস ডি ব্রুইন আর শাহীন শাহ আফ্রিদি ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট দুটি তুলে নেন।
কিন্তু জয় তখন বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। টেম্বা বাভুমাকে (১৩) নিয়ে হাশিম আমলা বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন। হাফসেঞ্চুরি তুলে আমলা অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে।