তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর,
বিশ্ব ইজতেমার আধিপত্য বিস্তার ও জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ অনুসারী দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ আহমাদ কান্ধলভির এবং দেওবন্দ মাদ্রাসার মাওলানা যোবায়ের হোসেন অনুসারীরা দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে আরো এক তাবলীগ অনুসারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যাক্তি বেলাল হোসেন (৫৫)। সে নোয়াখালী সদরের লক্ষী নারায়নপুর গ্রামের মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জান যায়, বিশ্ব ইজতেমার আধিপত্য বিস্তার ও জোড় ইজতেমা উপলক্ষে ময়দান দখল নিয়ে সা’দ গ্রুপ ও জোবায়ের গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ইসমাইল হোসেন নামে এক তাবলীগ অনুসারী মারা যান এবং মুসল্লি আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী ও ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে বেলাল মারা যান। এব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বেলালের মৃত্যুর বিষটি নিশ্চিত করেন। এছাড়া ইজতেমা ময়দানে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে বলেও জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর শুক্রবার থেকে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে মাওলানা জোবায়ের পন্থীরা এর বিরোধীতা করে এবং জোড় ইজতেমা প্রতিহতের ঘোষণা দেয়। এর পূর্বেই মাওলানা জোবায়ের আহমেদ পন্থীরা ময়দানের অবস্থান নেয়। শনিবার সকালে মাওলানা সা’দ পন্থীরা ইজতেমা ময়দানে গেলে ময়দানের প্রতিটি গেটে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে সা’দ পন্থীরা ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটার আঘাতে ঘটনা ঘটেছে। এতে ঈসমাইল হোসেন (৬৫) নামে এক মুসল্লি নিহত হয়েছে। এঘটনায় টঙ্গী, উত্তরা, তুরাগসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে স্কুল কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রীসহ সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।