নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৭ই জানুয়ারি সদরঘাট টু এয়ারপোর্ট লাইনের সুপ্রভাত, ভিক্টোরিয়া পরিবহনের লাইনম্যান কামাল ও আরিফ এর কাছে মোটা অংকের চাদাঁদাবী করায় সাময়িক বহিস্কার করা হয় যুবলীগ নেতা ফালানকে।
জানা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ ফালান ও ৪৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাজী স্বপনের নেতৃত্বে যুবলীগ নাম ব্যবহার করে চাদাঁদাবী করে পরিবহন লাইনম্যানদের নিকট হতে। চাদাঁ না দেয়ায় রাস্তায় ভিক্টোরিয়ার পরিবহন ও সুপ্রভাত নামের ৫/৬ ঘাড়ি ভাংচুর করেন তারা সে সময় বেশ কয়েকজন ড্রাইভার, হেলপার কেও মারধর করেন যুবলীগ নেতারা।
এঘটনায় পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাস মালিক কতৃপক্ষ তাদের লাইন ম্যানের কাছে চাঁদাদাবী ও বাস ভাংচুরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নিকট বিচার দাবী করেন। সভাপতি সম্রাট ঘটনার সত্যতা জানতে ফালানকে তার কাকরাইল অফিসে ঢেকে আনেন। এসময় সম্রাট ফালানের কাছে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে।
ফালান বলেন,আমি ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবুর নির্দেশে তার আপন বড় ভাই যুবলীগ নেতা হাজী স্বপনকে সাথে নিয়ে এই চাঁদা দাবী করেছি। টাকা না দেয়ায় আমরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছি।
ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সম্রাট তার কমিটির দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদকে নির্দেশ দেন ফালানকে সাময়িক বহিষ্কার করতে।
সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ ক্রমে ফালানকে সাময়িক বহিষ্কার করে দেন মহানগর দক্ষিন যুবলীগ। এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে কেন তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে এবং প্রকৃত নির্দেশ দাতা বাবু সহ কারা কারা ঘটনার সাথে জড়িত তার কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
এই বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট বলেন,সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি যেই ক্ষুন্ন করবে,দোষী যেই হোক আমরা কাউকে ছাড় দেব না। তদন্ত করে দোষীদের সংগঠন থেকে বহিস্কার সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জানা যায় এই চক্র গত কয়েক দিন আগে লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ফুটপাত দখল করতে গেলে স্থানীয় জনতার দাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। জানা যায় এই চক্রের মুল নির্দেশ দাতা সন্ত্রাসী পিচ্চি বাবু ইতিমধ্যে কয়েক বার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে গুলিবিদ্ধ হন।