ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়েছেন, আগামী ২০২১-২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫জি চালু হচ্ছে। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর রবি কর্পোরেট অফিসে ভিওএলটিই পরীক্ষামূলক ব্যবহার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দিনের মধ্যে ২জি, ৩জি, বা ৪জি থাকবে না। ২০২১-২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫জি সেবা চালু হচ্ছে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘সকল মোবাইল ফোন অপারেটরদের কোয়ালিটি সার্ভিস গাইড লাইন নিশ্চিত করতে হবে। জনগনের সঙ্গে প্রতারণা করা যাবেনা।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এবং জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসি’র পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।
এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো ভয়েস ওভার লং টার্ম ইভোল্যুশন (ভিওএলটিই) প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। এর ফলে দেশের প্রথম অপারেটর হিসেবে ৪.৫জি নেটওয়ার্কে ভয়েস সেবা প্রদান করার জন্য প্রস্তুত হলো কোম্পানিটি।
দেশব্যাপী বিস্তৃত রবি’র ৪.৫জি নেটওয়ার্কে ভিওএলটিই সেবা কার্যকর হলে গ্রাহকরা এইচডি (হাই ডেফিনিশন) ভয়েস কল উপভোগের পাশাপাশি দ্রুততর কল সংযোগের সুবিধা পাবেন। ভিওএলটিই প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকরা ভয়েস ও ডেটা উভয় সেবাই উপভোগ করতে পারবেন। এলটিই ডেটা নেটওয়ার্কে আলাদাভাবে ভয়েস সেবাকেও কার্যকর রাখে ভিওএলটিই প্রযুক্তি।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ’র একটি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো ইত্যাদি ওভার দ্যা টপ (ওটিটি) সেবার চেয়ে ভিওএলটিই সেবায় ব্যাটারি লাইফ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা।
বাণিজ্যিকভাবে ভিওএলটিই চালু করার জন্য রবি’র ইকো-সিস্টেম পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেবাটি চালু হলে কোন রকমের বাড়তি মূল্য পরিশোধ ছাড়াই রবি’র ৪.৫ জি গ্রাহকরা দ্রুততম সময়ে সবচেয়ে ভালো মানের ভয়েস সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এ সেবার জন্য আলাদা কোন ডেটা চার্জ প্রয়োজন হবে না এবং ভয়েস কলের ক্ষেত্রে বর্তমান ট্যারিফ প্ল্যান বা প্যাকই বহাল থাকবে।
রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বের সাথে বলতে পারছি যে, দেশের সবচেয়ে বড় ৪.৫জি নেটওয়ার্কে আমরা ভয়েস ওভার এলটিই ভিত্তিক ভয়েস সেবার সফল কারিগরি প্রস্তুতি শেষ করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।’
মাহতাব উদ্দিন আহমেদ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ’আমি একই সাথে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি’কে অনুরোধ করবো যাতে ভয়েস ওভার এলটিই ব্যবহার উপযোগী ডিভাইসের ব্যবহার বাড়াতে তারা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন; তাহলে আমাদের সকল গ্রাহক ভয়েস ওভার এলটিই চালুর পরে সেবার মানের ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরির্বতন হয়েছে তা উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র কমিশনার, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপারেশন্স, মো. রেজাউল কাদের, কমিশনার, স্পেকট্রাম ম্যানেজম্যান্ট, মো. আমিনুল হাসান, সচিব, মো. জহিরুল ইসলাম, মহাপরিচালক, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপারেশন্স, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল, পরিচালক, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং, তালেব হোসেন, রবি’র হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, শাহেদ আলমসহ রবি’র ম্যানেজম্যান্ট টিমের সিনিয়র কর্মকর্তারা।