রাসেল খান,
ইজতেমায় বিবাদমান দুই গ্রুপ যাতে কোন উস্কানমুলক বক্তব্য না দেন সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আপনারা দয়া করে কেউ কারো বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক কথা বলবেন না, বয়ানের মধ্যে
কিংবা মাঠের মধ্যে কেউ কারো বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক কোন কথা থেকে বিরত থাকবেন এজন্য আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি। আমাদের সাদা পোশাকে যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, কেউ ভুলক্রমে বলে থাকলে আমাদের সাদা
পোশাকের কর্মীরা আপনাদের কাছে থেকে আপনাদের রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আজ দুপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আসন্ন ৫৪ তম
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি ও
পর্যালোচনামুলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দুপুরে টঙ্গীতে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান
মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সিটি মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, জিএমপি
কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও তাদের প্রতিনিধিরা বিশ্বইজতেমার প্রস্তুতির তথ্য তুলে ধরেন। এতে বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিরাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশ নেন। এদিকে, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মুসুল্লিদের
সুবিধার্থে পুলিশ ও র্যাবে পক্ষ থেকে আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিরাপত্তায় থাকছে ১৬ হাজার আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা। প্রস্তুতিমুলক সভায় জোবায়ের পন্থি ওলামা মাশায়েখ এবং সাদপন্থি ওয়াসেকুল ইসলামের অনুসারিরা অংশ নেন। এর আগে
দুই গ্রুপের সমঝোতার ভিত্তিতে ৪ দিনের বিশ্ব ইজতেমার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১০টি শর্ত নিয়ে এবারের ইজতেমায় প্রথম দুই দিন জোবায়ের অনুসারি এবং পরের দুই দিন ওয়াসেকুল
ইসলামের (সাদপন্থি) অনুসারিরা অংশ নিচ্ছেন। এবার ৬৪টি জেলার মুসুল্লিদের অংশ গ্রহণে ইজতেমায় দুই বার হচ্ছে আখেরি মোনাজাত।