রাসেল খান
নবগঠিত ঢাকা উত্তর সিটির ৫১ নং ওয়ার্ড রাজধানী উত্তরার প্রান কেন্দ্র। স্থানীয় প্রভাব ধরে রাখতে এ ওয়ার্ডের নির্বাচন নিয়ে বৃহত্তর উত্তরার আওয়ামী লীগে চলছে নানা দেন দরবার। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়ায় নির্বাচনটি অনেকেরই অস্তিত্বের ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় ৯০ শতাংশ বহিরাগত ভোটার অধ্যুষিত এলাকাটিতে এখন বড় হয়ে উঠছে বহিরাগত ইস্যূও। হঠাৎ করেই এমন একটি ইস্যূ নির্বাচনী মাঠে আসায় অনেক প্রার্থীরই হিমশিম অবস্থা। জানাযায়, এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৭ জন নেতা
নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এ ৭ জনের মধ্যে ৪ জন স্থানীয় প্রার্থী। বাকী ৩ প্রার্থী জন্মগতভাবে উত্তরার স্থায়ী বাসিন্দা নয়। স্থানীয় প্রার্থীরা আদিকাল
থেকে এ অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আবার বহিরাগত প্রার্থীদের বিভিন্ন ভাবে কোনঠাসা
করারও চেষ্টা করছেন। গত কয়েকদিনে স্থানীয় প্রার্থীরা এককভাবে লড়ার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের মধ্যে ইঞ্জনিয়ার আনোয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা। তিনি চান তাকে সমর্থন দিয়ে অন্য প্রার্থীরা ‘স্থানীয় প্রার্থী’র মান রক্ষা করবেন। একইভাবে স্থানীয় প্রার্থী আবুল মেম্বার, শরিফুল ইসলাম ও ইফতেখার জুয়েলও এমনটা আশা করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হননি। স্থানীয়দের এক করার লক্ষে
এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বিরা নানা চেষ্টা করলেও তা স্বফল হয়নি। অন্য দিকে বহিরাগত প্রার্থীরা স্থানীয়দের এ প্রচারের ফায়দা নিতে উঠে পড়ে
লেগেছেন। ৫১ নং ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ
ওয়ার্ডের স্থানীয় প্রার্থীরা যেমন স্থানীয় প্রভাব নিয়ে ভোটের কাজে প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করছেন। আবার বহিরাগত প্রার্থীরাও আলাদা অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য কাজ করছেন। এখানে বহিরাগত প্রার্থী হিসেবে যুবলীগের মামুন সরকার, শ্রমিক লীগের শরিফুল আরেফিন ও শওকত আকবর নির্বাচন মাঠে মরণ কামড় দিয়ে লেগে আছেন। তাদের আশা বহিরাগতের অবস্থান এ ওয়ার্ডের বেশি হওয়ায় ২৮
তারিখের নির্বাচনে যে কারোর কপাল খুলে যেতে পারে। আবার স্থানীয় প্রার্থীরা মনে করছেন, তাদের বিকল্প কাউকে দিয়ে উত্তরার নেতৃত্ব সম্ভব নয়। তবে স্থানীয় ও বহিরাগত ইস্যূ উঠে আসায় উভয় পক্ষের প্রার্থীরাই আছেন বেশ বেকায়দায়। ১২নং সেক্টরের বাসিন্দা ও সাবেক এক (আমলা) প্রতিবেদককে বলেন, এখানের অধিকাংশ ভোটার সমাজের নেতৃস্থানীয় ও অভিজাত হওয়ায় কোন প্রার্থীরই আলগা প্রভাব কাজে আসছে না। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়ী হতে হলে শিক্ষা ও
সামাজিক যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে।