আন্তর্জাতিক ডেস্ক | শনিবার,২ মার্চ ২০১৯:
মিয়ানমারে দেশটির সেনা-প্রণীত সংবিধান বদলের ডাক দিয়ে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হাজার হাজার জনতা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির শীতল সম্পর্কের মধ্যে এ সমাবেশে যোগ দিলেন দেশটির সাধারণ মানুষ।
মিয়ানমারের বিতর্কিত এ সংবিধানের বদৌলতে সেনাবাহিনীর হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। গত বুধবার সমাবেশে যোগ দেওয়া মানুষ গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের ভাষণ আগ্রহভরে শুনেছেন। সামরিক একনায়কতন্ত্র অবসানের দাবিতে স্লোগানও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নাট্যকর্মী থেকে সংগীতশিল্পী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন এতে। সু চির দল এনএলডি গত মাসে হঠাৎ করেই সেনা-প্রণীত সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়। মিয়ানমারের পার্লামেন্টে সংবিধান সংশোধন নিয়ে কাজ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাখে এনএলডি। পার্লামেন্টে সামরিক প্রতিনিধিদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে এ পদক্ষেপ নিয়ে সংঘাতে জড়ায় দলটি।
মিয়ানমারে প্রায় তিন দশকের মধ্যে এ প্রস্তাবই সামরিক বাহিনীর ক্ষমতার বিরুদ্ধে সু চির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রস্তাবটি নিয়ে ভোটের সময় সেনাবাহিনী মনোনীত এমপিরা এর বিরোধিতায় নীরবে উঠে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে ক্ষমতাসীন দল এনএলডির সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। গত বুধবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশের এক আয়োজক বলেন, সংবিধান সংশোধন কমিটির সমর্থনে আমরা বিক্ষোভ করছি। আমরা জনগণের পাশে আছি।