তুরাগ প্রতিনিধি,
রাজধানীর তুরাগে সেলিম মোল্লা একটি ভবন নির্মাণ কালে চাঁদাবাজদের হুমকি পেয়েছেন। তাদের দাবি করা চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
তুরাগ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর এ বিষয়ে জানান, বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত হচ্ছে, শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। এর বেশী কিছু এখন বলতে চাই না। জানা গেছে ব্যবসায়ী সেলিম মোল্লা নিজ মালিকানাধীন জমিতে বাড়ীর কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী আঘাত করে তাকে মারাত্বক জখম করে। স্থানীয় হাজী মনির এবং তার দলবল জমির মালিকের কাছে দীর্ঘদিন যাবত ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এবং টাকা দিতে অপারগ হলে জমিতে আসলে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে পড়ে বিল্ডিং তৈরীর কাজ বন্ধ রাখতে বাদ্য হয়েছেন সেলিম মোল্লা। এ নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রচার হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে এক ধরণের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসামী এবং বাদী পক্ষের উভয়ই সরকার দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বিধায় বিষয়টি জটিল হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছন স্থানীয় কয়েকজন।
জমির মালিক রাজধানীর তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন করেছেন। কিন্তু পুলিশের নজরে ঘটনাটি আনার পরও তেমন কোনো প্রতিকার না পেয়ে ব্যবসায়ি সেলিম মোল্লা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ মামলার আসামিরা হলেন, লিখন, টগর ও হাজী মো. মনির হোসেন।
থানার জিডি ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, তুরাগের নলভোগ এলাকার বাসিন্দা সেলিম গত ২০/০১/২০১৯ ইং তারিখে ২৯৩৯ ও ২৯৩৮ নং খতিয়ান ভুক্ত ৯৮৫ অজুতাংশ জমি সাফ কবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের পর ক্রেতার ভোগ দখলও প্রতিষ্ঠিত হয়। এমন অবস্থায় স্থানীয় মনির হাজী ও তার দুই ছেলে লিখন ও টগর বাদীকে জমিতে যেতে বারণ করে এবং ক্রয় করা জায়গায় বাড়ীঘর করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে গত দুই মাস থেকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু সেলিম মিয়া কোন প্রকার টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে আসামীপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে সেলিম মোল্লাকে মারধর করে এবং পকেটে ও ব্যাগে থাকা ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে এ মামলার আসামীরা বাদীর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।