তুরাগ প্রতিনিধি,
রাজধানী তুরাগে বসতবাড়িতে কেমিক্যাল গোডাউনে চলছে নকল মোবিল তৈরির কারখানা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা সরেজমিন সংবাদ সংগ্রহে গেলে বাধা দেয় দিয়াবাড়ির পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই শফিউল ইসলাম। ফংডিং মিরাক্কেল প্লাস বাংলাদেশ নামের ভুয়া কোম্পানিটির মালিক আব্দুর রহমান সরকারসহ কয়েকজন কর্মচারী।
তুরাগের বাউনিয়া বাদালদি এলাকার একটি ৬তলা আবাসিক ভবনের আন্ডারগাউন্ডে ফংডিং মিরাক্কেল প্লাস বাংলাদেশ নামের কেমিক্যাল গোডাউনটির সন্ধান পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন থেকেই গোপনে পুলিশকে মাসোহারা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলো কোম্পানিটি। সেই সুবাদেই ছুটেও আসেন এসএই শফিউল ইসলাম।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় উত্তরার স্হানী কয়েকজন সাংবাদিক নিউজের সন্ধানে সেখানে গেলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
ক্যামিকেল ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান সরকার তাদের সাথে নানা উচ্চবাচ্য করেন, এক পর্যায়ে না পেরে স্হানীয় মাতব্বর দাড়া টাকার বিনিময়ে সমাধান করার চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হন।
কোম্পানির মালিক সাংবাদিকদের বসতে বলে একটু আড়ালে এসে দিয়াবাড়ির পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিউল ইসলামকে ফোন দিয়ে ডেকে আনেন। ফাঁড়ি পাশে হওয়ার কারনে ৫ মিনিটের ব্যবধানে ইনচার্জ, ডিউটিরত এএসআই দেলোয়ারসহ সিভিলে দুজন চলে আসেন।
সাপ্তাহিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার সাংবাদিক ইকবাল হোসেনসহ কয়েকজন সাংবাদিক বলেন, গেটের সামনে ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিউল ইসলাম এসেই দাড়োয়ানকে বলে গেট বন্ধ করেন। পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলে তোদের কে আসতে বলেছে। এতো বড় সাহস কোথা থেকে পেলি। এস আই দেলোয়ারকে বলেন সবাইকে আটক করেন চাঁদাবাজি করতে এসেছে সালারা।
সাংবাদিকরা আরো জানান, শফিউল সাব নোংরা ভাষায় নানা গালিগালাজ করেন। তার এলাকাতে সাংবাদিক গোনার টাইম নেই বলে ও জানান তিনি।
ঘটনা চলাকাকালীন অন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতায় র্যাবের কাছে কেমিক্যাল কোম্পানির তথ্য চলে যায়। ঘটনাস্হলে থাকা একজন সাংবাদিককে মুঠোফোনে কল করেন র্যাব। এটা টের পেয়ে শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে ভালো আচরণ করা শুরু করেন। এবং মিমাংসা করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু না রাজি জানান সাংবাদিকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, ৬তলা ভবনের আন্ডারগাউন্ডে বিশাল একটি কেমিক্যালের গোডাউন। সেখানে মেশিনের সাহায্যে অবাদে চলছে নকল বাস, ট্রাকও মোটরসাইকেলের নকল মোবিল তৈরি।
যেভাবে আন্ডারগাউন্ডে কেমিকেল রাখা হয়েছে এবং নকল মোবিল তৈরি করা হচ্ছে তাতে যেকোন সময়ে কোন রকম এলোমেলো হলে পোর ভবন উড়ে যাওয়ার সংখ্যা রয়েছে। ৬তলা ভবনে বসবাস করেন প্রায় ২০টি পরিবার। দুর্ঘটনা হলে সবার জীবনের ঝুঁকি হতে পারে।
ভবনের মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে বাসার কেয়ারটেকার বলেন, স্যার ঢাকার বাহিরে, কোথায় জানতে চাইলে ইন্ডিয়া থেকে বিমানে আসছেন বলে জানান। বাসার মালিকের সাথে কোন কথা বলাযায় না।
স্হানীয় মাতব্বর কফিল আহমদ বলেন, ভাই আমি এই সবের ভিতরে নেই। অনেক সময় নষ্ট করেছি বসে থেকে। সাংবাদিক র্যাবকে ফোন দিয়েছে, আর মালিক পুলিশকে তারা বোঝক তাদের ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন, ভবনের মালিকের বোন জামাই এই কেমিকেল কোম্পানির মালিক।
তার মানে যেনে শুনেই কেমিক্যাল গোডাউন রাখা হয়েছে। কিন্তু ভবনের মালিক একটি বাড়ের জন্য ভাবেননি দূরর্ঘটনা ঘটলে কি হবে তার পরিবারসহ ভাড়া থাকা পরিবারের।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আনিছ বলেন, পুলিশের জালাই থাকা যায় না। তাদের টাকা দিতে হয়। আজ আপনারা যেনে গেলেন। দেখেন মালিক কি করে আমি কর্মচারী। ইনচার্জকে টাকা দেয়ার সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার বস জানেন কিন্তু পুলিশকে টাকা দেয়া হয় এটা সত্য।
সাংবাদিকদের হুমকি ধামকি সম্পর্কে দিয়াবাড়ির পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিউল ইসলাম বলেন, আমি তাদের বলেছি বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে আসলে সে ব্যবসা করতে পারবে। কাগজ না থাকলে সে একমুহুর্তের জন্য ব্যবসা করতে পারবে না।