চবি প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ৭ম বারের মতো নিরংকুশ বিজয়লাভ করেছে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ তথা হলুদ দল।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলয়াতনে ভোট গ্রহণ শেষে বিকাল পাঁচটায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট গ্রহণকালে ৮০ জন শিক্ষক অগ্রিম ভোট প্রদান করেন।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর সাদা দলের অংশ গ্রহণ ছাড়াই শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম পূর্ণ প্যানেলে হলুদ দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে।
৪২১ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আইন অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর মো. জাকির হোসেন, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী পেয়েছেন ১৬২ ভোট। ৩৯৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, প্রতিদ্বন্দ্বী ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ১৬৭ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহ আলম ১১০ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সভাপতি পদে ৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন হলুদ দল সমর্থিত যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্লাহ (লিপন), প্রতিদ্বন্দ্বী ড. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ১৬৭ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে ৩৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ড. মো: আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ১৭০ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রাণ রসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ৪২৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন ১৩৬ ভোট ।
এছাড়া ছয়টি সদস্য পদে অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন ৪১১ ভোট, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইকবাল আহমেদ ৪১০ ভোট, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুলতানা সুকন্যা বাশার ৩৪০ ভোট, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম ৩৩৫ ভোট, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর বকুল চন্দ্র চাকমা ৩৩০ ভোট এবং একাউন্টিং বিভাগের প্রফেসর ড. রনজিত কুমার চৌধুরী ৩০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ফলাফল ঘোষণাকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এম এ গফুর বলেন, অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮৭৪ জন ভোটারের মধ্যে মোট ৬৪৯ জন ভোট দিয়েছেন। তন্মধ্যে ২৯ টি ভোট বাতিল হয়েছে।