ডেস্ক রিপোর্ট | সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০১৯:
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে ভারতের রাজনীতিতে একটি কালো ট্রাঙ্ক নয়া উত্তাপ ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে ৯ এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের চিত্রদুর্গে ভোটের প্রচারে যাওয়ার সময়ের। সেখানে মোদির হেলিকপ্টার থেকে এই কালো ট্রাঙ্কটি নামিয়ে তড়িঘড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। আর নিয়ে চলছে তুমুল বিতর্ক।
এনডিটিভি জানায়, কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘রহস্যময়’ ওই ট্রাঙ্কটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হেলিকপ্টার কনভয় থেকে নামানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নামার আগেই তার নিরাপত্তারক্ষীরা ট্রাঙ্কটি তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামিয়ে একটি গোপন জায়গায় নিয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনকে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছে তারা।
এ নিয়ে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে কংগ্রেস। দেশের সর্বপ্রাচীন দলটির মুখপাত্র আনন্দ শর্মা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার পাহারায় থাকা আর তিনটি কপ্টার দেখেছি। নামার পরই প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে একটি কালো ট্রাঙ্ক নামিয়ে দৌড়ে গিয়ে তা একটি বেসরকারি গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। গাড়িটি মোদির বিশেষ নিরাপত্তা বহরে ছিল না।
নির্বাচন কমিশনের কাছে এ ঘটনাই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আনন্দ শর্মা। ওই ট্রাঙ্কে কী ছিল তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। বলেছেন, ওতে কী আছে মোদির তা জানানো উচিত ছিল। ট্রাঙ্কে টাকাও থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনের কাছে কংগ্রেসের কর্নাটক শাখা এরই মধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও জানান আনন্দ শর্মা।
মোদির হেলিকপ্টার থেকে কালো ট্রাঙ্ক তড়িঘড়ি নামানোর অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে শনিবারই কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডু রাও নিজের টুইটার হ্যান্ডলে ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সে ভিডিওতেই ধরা পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার থেকে ট্রাঙ্কটি নামিয়ে দ্রুতই একটি ইনোভা গাড়িতে তুলে দেওয়ার দৃশ্য। গাড়িটি সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের কাছে দীনেশ গুন্ডু রাওয়ের দাবি- ট্রাঙ্কে কী রাখা ছিল, গাড়িটি বা কার, সব কিছু তদন্ত করে দেখা হোক।
ওদিকে, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কালোম ট্রাঙ্ক নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কংগ্রেসের বরং দুর্নীতির ক্ষেত্রে নিজেদেরই স্বচ্ছতার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে দলটি।