ডেস্ক রিপোর্ট | শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০১৯:
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে উবারের প্রাইভেটকার পাঁচ হাজার টাকায় ভাড়া করে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে ঢাকায় ঢুকছিল তিন মাদক ব্যবসায়ী। হেয়ায়েতপুরে র্যাবের চেকপোস্ট দেখতে পেয়ে দ্রুতগতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে চেকপোস্ট ওভারটেক করেন চালক মাদক ব্যবসায়ী আলম মিয়া। দ্রুত গতির কারণে ৪টি সিএনজি ও ৫/৬টি রিকশাকেও ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেরেবাংলা নগর থানার তালতলা এলাকায় গোলাগুলি পর র্যাব সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন আলম মিয়া। এসময় এ বি সিদ্দিক নামে এক র্যাব সদস্য আহত হন।
র্যাব-২ ব্যাটালিয়ন বলছে, আলম মিয়া পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। উবারের মতো অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবার গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে তিনি ইয়াবা ও ফেনসিডিলের চালান কাঙ্খিত গন্তব্যে পাঠিয়ে আসছিলেন।
আহত অবস্থায় আটক আলম মিয়াকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জব্দ করা হয় প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ২১ ৯৪২৩) ও শতাধিক ফেনসিডিলের বোতল।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল আজ শুক্রবার সকালে ফেনসিডিলের বড় একটি চালান ঢাকায় ঢুকবে। ওই খবরে আমরা রাজধানীর পৃথক তিনটি স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করি। সকাল ৯টার দিকে ওই প্রাইভেটকার সাভারের হেমায়েতপুরে কাছে স্থাপন করা চেকপোস্ট দেখতে পেয়ে দ্রুত গতি গাড়ি ড্রাইভ করে বেড়িয়ে যায়।
গাবতলীর কাছে আসার পর প্রাইভেটকারে থাকা তিনজনের মধ্যে মো. রহমান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নেমে যান। এরপর মিরপুর থেকে মাজার রোড হয়ে আগারগাঁও অভিমুখে গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। দ্রুতগতির কারণে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকারে রিকশা ও সিএনজি ধাক্কায় পড়ে যায়।
তিনি বলেন, সর্বশেষ সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর তালতলা মুক্তি হাউজিং এলাকায় র্যাব সদস্যরা গাড়িটি আটকে দেয়। দুই মাদক ব্যবসায়ী গাড়ি থেকে নেমেই র্যাব সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও গুলি ছুড়লে মো. আলম মিয়া আহত হয়। আরেকজন পালিয়ে যায়।
অস্ত্র ও গুলিসহ আলম মিয়া আটকের পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিসহ শতাধিক বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
র্যাব-২ সিও বলেন, ওই প্রাইভেটকারটি মালিক মিরপুরের জনৈক উবারের চালক রুমির কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছেন আটক আলম মিয়া। তিনি উবারের ওই গাড়িতে করে মাদক সরবরাহের কাজ করে আসছিলেন। আলম মিয়াসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা থানায়, মাদক, র্যাব সদস্যদের উপর হামলা ও অস্ত্র আইনে তিনটি পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।