মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি | সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের করমজাবুনিয়া গ্রামের মোঃ জসিম উদ্দিন নামে এক প্রধান শিক্ষকের গৃহ পরিচালিকা ২ মাসের অন্তঃসত্ত্ব বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জনাজায়, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য মাধবখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, সেচ্ছা সেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া এবং অভিযুক্ত ছেলের মামা উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম পায়তারা করছে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহ পরিচালিকা (১৭) উপজেলার বাজিতা এক দিন মজুরের মেয়ে। ছোট বেলা মেয়েটির মা মারা গেলে একই গ্রামের মেয়ে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী শিউলী বেগম মেয়েটিকে তার স্বামীর বাড়িতে কাজ করার জন্য নিয়ে আসে। জসিম উদ্দিনের স্ত্রীর বড় বোনের ছেলে ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের মোঃ ওহাব মিয়ার পুত্র ওলি আহম্মেদ খালার বাড়িতে বেড়াতে আসলে মেয়েটির উপর কু-নজর পরে বলে যানা যায়।
মেয়েটি জানায়, ওলি প্রায় খালার বাড়িতে আসলে আমাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিত। আমি কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত অক্টবর মাসে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং ঐ দিন রাতে জোর পূর্বক আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে এবং বিয়ের আশ^াস দেয়। এ ভাবে পর্যাক্রমে প্রায় সময়ই আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে থাকে। ঘটনাটি এক পর্যায় জানাজানি হলে ছেলের খালা করমজাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাকা শিউলী বেগম ও তার স্বামী জসিম উদ্দিন আমাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার জন্য বরগুনা একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষা নিরিক্ষার পর জানাযায় আমি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ।
সে আরও বলেন, ওলির খালা পরের দিন আমাকে বাড়িতে না পৌছে দিয়ে বাড়ির পাশের রাস্তায় নামিয়ে দেয় এবং ঘটনাটি কাউকে না বলার হুমকী ধামকি প্রদান করে। বাড়িতে আসার পরে ছেলে পক্ষের সাথে বিষয়টি আমার পরিবার সদস্যরা আলোচনা করলে ২য় বারের মত পরীক্ষা নিরিক্ষা করার জন্য ছেলের মামা মোঃ মিজানুর রহমান, মনির ও বাচ্চু বাকেরগঞ্জ একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ছেলের ছোট মামা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সাথে যাইনি। মনির এবং বাচ্চু মেয়েটিকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে গিয়েছিল তবে লোক মূখে শুনিছি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা।
মেয়ের সৎ মা মোসাঃ পারভীন বেগম বলেন, আমার মেয়ে ঐ বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করত। বাড়ি মালিকের ভায়রার ছেলে ওলী দীর্ঘদিন যাব তার সাথে জোর পূর্বক শরীরিক সম্পর্ক করেন বলে আমার মেয়ে জানায়। এ ব্যপারে ছেলের খালু দক্ষিন গাবুয়া সরকরি পাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন এর সাথে বার বার (০১৭১২০৪৯২৭৯) নম্বরে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোনটি রির্সিভ করেনি। মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ মাসুমুর রহমান বিশ^াস জানান, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হইবে।