নিউজ ডেস্ক | সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯:
প্রথম সাময়িক পরীক্ষা মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে শুরু আর সিলেবাস দেয়া হয়েছে সোমবার (২২ এপ্রিল)! এ নিয়ে নড়াইলের সচেতন মহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা (সিলেবাস) অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদান করা হয়ে থাকে। সে জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য সিলেবাসও তৈরি করা হয়।
সরকারি ছুটির দিন সোমবার সকাল থেকে নড়াইল জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে সিলেবাস নেয়ার জন্য ভিড় করছিলেন শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলায় ১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। আর সোমবার সকাল থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরকারি ছুটির দিনে বিদ্যালয়ের সিলেবাস এবং পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকরা এসে দাড়িয়ে আছেন সিলেবাস ও প্রশ্ন নেয়ার জন্য। একজন করে টোকেন নিচ্ছেন আর অন্য জায়গা থেকে সিলেবাস ও প্রশ্ন সরবরাহ করা হচ্ছে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার টাকা নিয়ে টোকেন দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
১৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২১ হাজার এবং কিন্ডারগার্টেনগুলোতে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের মাধ্যমে ১৬ হাজার সিলেবাস বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষকরা জানান, বছরের শুরুতে বিদ্যালয়গুলোতে সিলেবাস দেয়ার কথা ছিল। যা দেখে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাবেন। ছাত্ররাও ওই সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষার পড়া পড়বে।
চলতি বছরের প্রায় ৪ মাস চলে যেতে বসেছে। মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা শুরু, সোমবার অর্থাৎ পরীক্ষার একদিন আগে এ সিলেবাস নিয়ে শিক্ষকরা কবে পড়াবেন? আর শিক্ষার্থীরাও কি পরীক্ষা দেবে? এমন প্রশ্ন সবার।
ছাত্রদের বক্তব্য, ‘রোববার পবিত্র শবেবরাতে অধিকাংশ শিক্ষকরা গভীর রাত পর্যন্ত ইবাদত করে শরীর ক্লান্ত হয়ে আছে। আবার কেউ কেউ রোজা রেখেছেন। অথচ আজকের দিনেই কেন এসব দিতে হবে? পূর্বেও তো দেয়া যেত। প্রশ্নপ্রত্র ও সিলেবাস নিজেরা তৈরি করলেও এত দেরিতে কেন সিলেবাস দেয়া হচ্ছে? এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।’
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদুল করিম বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে সিলেবাসের পরিবর্তন হয়ে থাকে তাই নির্দিষ্ট সময়ে দেয়া যায়নি। রোববার আমাদের কাছে পৌঁছানো পর থেকেই বিতরণ করা হচ্ছে।’
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার অসিত কুমার পাল বলেন, ‘পরীক্ষার সিলেবাস দিতে একটু দেরি হয়েছে। প্রথম সাময়িকে কোন জায়গা থেকে কোন পর্যন্তু আসবে সেটি পূর্বেই বিদ্যালয়গুলোতে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। সিলেবাস সারা বছরের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। সামনে আরও দুটি পরীক্ষা রয়েছে।’