নিউজ ডেস্ক | সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০১৯:
শ্রীলঙ্কায় হামলার সঙ্গে স্থানীয় ইসলামি চরমপন্থী গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) দায়ী করছে দেশটির সরকার। সোমবার শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র রাজিথা সেনারত্নে বলেছেন, প্রাণঘাতী এই হামলার পেছনে স্থানীয় এই চরমপন্থী গোষ্ঠী জড়িত।
রোববার সকাল ও দুপুরে দুই দফায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আট জায়গায় ওই বোমা হামলার পর শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত ২৪ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যারা শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
গত বছর একটি বৌদ্ধমূর্তি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শ্রীলঙ্কার উগ্রপন্থি মুসলিমদের সংগঠন ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতের নাম খবরে এসেছিল।
তবে কেবল স্থানীয় কোনো দলের পক্ষে এত ব্যাপক মাত্রায় সমন্বিত হামলা চালনো সম্ভব বলে মনে করেন না রাজিথা সেনারত্নে। তার বিশ্বাস, কোনো আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এর পেছনে রয়েছে ।
প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার অফিস বলেছে, শ্রীলঙ্কায় যে একটি বিদেশি সন্ত্রাসী গ্রুপের সহায়তায় হামলা হতে পারে, সে বিষয়ে দুই সপ্তাহ আগেই সতর্ক করেছিল একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা। তাই তদন্তের ক্ষেত্রে বিদেশি সরকারগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।
দেশটিতে ইস্টার সানডেতে একযোগে সিরিজ বোমা হামলায় ২৯০ জনের মৃত্যু হয়। এর পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
সোমবার মধ্যরাত থেকে পুরো শ্রীলঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
হামলার পর থেকে চলা অভিযানের মধ্যে কলম্বোর প্রধান বাস টার্মিনাল এলাকায় ৮৭টি বোমার ডেটোনেটর পেয়েছে পুলিশ। কলম্বোর বন্দরনায়েকে বিমানবন্দরের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি পাইপ বোমা।
এছাড়া দিয়াতালাভার কাহাগোলা এলাকা থেকে চায়নিজ অ্যাসল্ট রাইফেরের ১৫২টি গুলি এবং নাইন এমএম বোরের গুলির আটটি ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এই তল্লাশি অভিযানের মধ্যে সোমবার বিকালে সেইন্ট অ্যান্থনির গির্জার কাছে পুলিশ সদস্যরা একটি বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণ ঘটলে সেই শব্দে আতঙ্কিত লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে।
শ্রীলঙ্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই গির্জাও রোববারের হামলায় আক্রান্ত হয়, হতাহত হয় বহু মানুষ।
-বিবিসি