নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার,২৩ এপ্রিল ২০১৯:
জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দু‘দিন ব্যাপী বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৯ এর পর্দা নামলো গতরাতে। সামিটের
প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী ও তরুণ দর্শনার্থীদের ভিড় ছিলো অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশী।
সমাপনি অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ তার জনগোষ্ঠীকে সংগে নিয়ে
বাংলাদেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের গল্প তৈরি করেছে।বাংলাদেশ আগামী দুই বছরে পৃথিবীকে পথ দেখানোর জায়গায় দাঁড়াতে পারবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত
করেন।
বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং বা বিপিও খাতে ৪হাজার ৮শত কাজ আছে উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ এর প্রচেষ্টার ফলে বিপিও‘র মতো নব-প্রযুক্তি বিষয় দেশে আজ বিরাট মহিরূহে রূপ নিয়েছে।
বিপিও সামিট ২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং সেমিনার সমূহে শিক্ষার্থীদের ভির ছিল চোখে পড়ার মতো।, জ্ঞানার্জনের জন্য আমাদের তরুণরা এত কষ্ট করে এটাও অভাবনীয় উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১২ সাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভিলিউশন ফোর আমরা শুনে আসছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভিলিউশন ফোর বা ডিজিটাল বিপ্লব পৃথিবীতে বাংলাদেশই প্রথম ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে।
মন্ত্রী দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষমানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমাদের সন্তানদের ডিজিটালাইজড করতে সরকার অবকাঠামো ও দক্ষতা উন্নয়নে সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ট্রেডবািডসমূহ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাতিগতভাবে এ বিষয়ে আমাদের বড় অর্জন হয়েছে।
সমাপনি অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম, ডব্লিউআইটিএসএ সেক্রেটারি জেনারেল ড. জেমস পসান্ট এবং বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বক্তৃতা করেন।
এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হোটেল সোনারগাঁওয়ে আউট সোর্সিং টেলিকমিউনিকেশন্স সার্ভিস শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে জায়গায় পৌছেছে পৃথিবীর কোন দেশ তা পারেনি। বিপিও সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ এর বক্তৃতায় ‘অনুকরণ না করে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আহবান’ উদ্ধৃতি করে মন্ত্রী বলেন, নতুন
প্রজন্ম খুবই মেধাবি। তাদের ওপর আমারা ভরসা করতে পারি। বাংলাদেশ এখন কম্পিউটার মাদার বোর্ড বানায়, কম্পিউটার উৎপাদন ও রপ্তানি করে। বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তিখাতে যেভাবে অবকাঠামো তৈরি করছে বহু উন্নত দেশই তা পারেনি উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বিপিও খাতকে দেশের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে বলেন, দেশে বিপিও খাতের বাজার অসাধারণ। তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, বিপিও সেক্টরে কাজ করার জন্য কম্পিউটারের বিশেষজÍ হওয়ার দরকার হয় না। এখানে মেয়েদেরে কর্মসংস্থান হচ্ছে উল্লখেযোগ্য হার। রয়েছে নিরাপদ ও উপযুক্ত কাজের পরিবেশ একজন মা যিনি ঘরে বসে কাজ করতে চাইছেন তাকেও বিপিও খাত পুরো সুযোগ দিতে পারে।এখন অনেক ছেলেমেয়ে গ্রামে বসে আউটসোর্সিং
করছে। পরিবারে দায়িত্ব পালন করছে। বিপিও খাতে দেশই অনেক বড় বাজার রয়ছেে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকিং, টেলকম,শিল্প-কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো এখাতে সেবা নিতে আসেন । মন্ত্রী তাদের
আশ্বস্ত করের যে বাংলাদেশের বিপিও খাত এখন তাদের চাহিদা অনুযায়ী সব সেবা দিকে প্রস্তুত। এতে তারা নিজেরা যেমম সাশ্রয় করতে পারেন তেমনি
কর্মসংস্থানেও ভূমাকা রাখতে পারেন।
টেলিকম বিশেষজ্ঞ টিএম নুরুল কবিরের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো: জহিরুল হক এবং রবি‘র সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বাক্কো
সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ বক্তৃতা করেন।