রাসের খান | বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৯:
মানহানির ভয় দেখিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ভূয়া সাংবাদিক দম্পতিসহ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
তারা হলো- মো. রাসেল হাওলাদার ওরফে রাসেল হাসান ওরফে হাসান (২৯), মো. মানিক হোসেন (২২), মো. মোখলেছার রহমান ওরফে জনি (২৫), সালমা আক্তার (২১) ও আছমা আক্তার (২১)। এ চক্রের মূল হোতা রাসেল হাওলাদার, সালমা আক্তার তার স্ত্রী ও শ্যালিকা আছমা আক্তার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্য জানা যায়; চাঁদাবাজ ও প্রতারক চক্রের কয়কজন সদস্য উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের আওয়াল অ্যাভিনিউতে অবস্থান করছে। পরে অভিযান চালিয়ে ভূয়া সংবাদিক দম্পতিসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন, নগদ ৬ হাজার ১৫০টাকা, ২ টি হাতঘড়ি, একটি মটরসাইকেল,২টি দাওয়াত কার্ড ও বিভিন্ন পত্রিকার অসংখ্য পেপার ক্লিপিং উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাসেল হাওলাদার জানায়, সে ১৯ বছর ঢাকায় থাকছে। ইন্টারমিডিয়েটের গন্ডি পেরোতে না পারলেও নিজেকে গ্রাজুয়েট বলে পরিচয় দেয়। নিজ এলাকা বরিশাল। ঢাকায় তার একাধিক স্ত্রী রয়েছে। সে ৫/৬ বছর গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেছে। কিন্তু সে উত্তরা বাণী, স্বাধীন সংবাদ, নতুন দিক, উত্তরা টাইমস, শ্যামল বাংলা নামের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী বলে পরিচয় দেয়।
বর্তমানে সে সরেজমিন নামক একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত বলে জানায়। তার স্ত্রী ও শ্যালিকা তার এ অপকর্মে সহযোগীত করে আসছে। তার নির্দেশেই চক্রের অন্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্বনামধন্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে। নিজেকে বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে।
তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে বরিশালের মুলাদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১টি এবং মিরপুর মডেল থানায় জাল নোট পাচারের অভিযোগে ১টি মামলা চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।