December 1, 2025, 10:19 am

বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু

Reporter Name 174 View
Update : Thursday, April 25, 2019

নিউজ ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯:
সবুজ পতাকা নেড়ে ও বাঁশি বাজিয়ে রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর এক্সপ্রেস বনলতার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাজশাহী থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে ঈদ আসছে। আর এই বিরতিহীন ট্রেনের মাধ্যমে ঈদে মানুষ দ্রুত বাড়ি যেতে পারবে।

এছাড়া সামনে জৈষ্ঠ মাস আসছে। রাজশাহী আমের জন্য বিখ্যাত। এই ট্রেনের মাধ্যমে রাজশাহীর আম ঢাকায় দ্রুত চলে আসবে। তিনি বলেন, আমার কেন জানি মনে হয় রাজশাহীর ওই অঞ্চলটার তেমন কোনো উন্নতিই হয়নি। জানি না কেন সেখানে কোনো কোনো শিল্প কারখানা গড়ে ওঠেনি।সেখানকার অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোরও তেমন একটা উন্নতি হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সেজন্য ওই দিকটায় বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি যাতে ওখানে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ে আর তাদের জীবনমান যাতে আরও উন্নত হয়। ‘উত্তরবঙ্গকে মঙ্গাপীড়িত না রেখে আমরা মঙ্গামুক্ত করছি। পাশাপাশি আমরা চাচ্ছি এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার আরও উন্নতি হোক’-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে প্রথম দিন বনলতা ট্রেনটিতে ভ্রমণে কোনো টিকিট লাগবে না বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমাঞ্চল রেলসূত্রে জানা গেছে, বনলতায় থাকছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ১২টি নতুন কোচ। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের কোচ ৭টি, এর আসন সংখ্যা ৬৬৪টি। এসি কোচ দুটি, আসন সংখ্যা ১৬০টি। একটি পাওয়ার কোচের আসন সংখ্যা ১৬টি। দুটি গার্ডব্রেকের আসন সংখ্যা ১০৮টি। মোট আসন সংখ্যা ৯৪৮টি।
এদিকে বনলতার কোচ নতুন হলেও ইঞ্জিন পুরনো। ২০১৩ সালে ভারত থেকে আমদানি করা দুটি ইঞ্জিন দিয়ে চলাচল করবে ট্রেনটি। ঘণ্টায় ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, ট্রেনটিতে সংযুক্ত রয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট। এ কারণে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। ট্রেনটিতে থাকছে রিক্লেনার চেয়ার। আছে ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি কোচে রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে। যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শন করা হবে।

কিন্তু থাকছে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো ধরনের শ্লিপিং বার্থ। রেল বিভাগের ভাষ্য, যেহেতু ট্রেনটি দিনেরবেলা চলাচল করবে, সে কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থের দরকার পড়ছে না আপাতত।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর