নিউজ ডেস্ক | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপি হল বটগাছের মতো। এর থেকে দু-একটা পাতা ঝরলে কিছুই যায় আসে না।’ তিনি বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দুই-একজন শপথ নিলে তাতে দলের কোন ক্ষতি হবে না।’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয় আনুগত্যের বাইরে গিয়ে বিএনপির এমপিরা কেন শপথ নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি একটা বড় বটগাছ এখান থেকে দুই-একটা পাতা ঝরে গেলে কিছু যায় আসে না। আমাদের অতীত ইতিহাসে এরকম আছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বরণের পরে হুদা মতিন এবং প্রেসিডেন্টের কেবিনেটের ডাকসাইটের মন্ত্রীরা এই বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করেছিল। তারা পারে নাই, এরপর ওয়ান ইলেভেনের সময় চেষ্টা করেছিল। সেসময় পারেনি। অতএব দু-একজন শপথ নিল, কি নিল না এটা এত বড় দলের জন্য তেমন কোন বিষয় না।’
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেয়ার বিষয়টিকে দু:খজনক অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়েছে আমরা আমাদের গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
‘বিএনপিকে চাপে রাখা হচ্ছে না’- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপিকে চাপে রাখার জন্যই আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলা হওয়া সত্ত্বেও একদিকে জামিন দিচ্ছে না, অন্যদিকে অন্য মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দলের উপর প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছে এটাতো জনগণের কাছে পরিষ্কার। সুতরাং এটা জনগণই বিচার করবে, বিএনপিকে চাপে রাখা হচ্ছে ? কি হচ্ছে না।’
এসময় তিনি দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘মাহফুজুল্লাকে হারিয়ে জাতির অনেক অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। এই ক্ষতি কি দিয়ে পূরণ হবে তা আমি জানি না।’
পুষ্পার্ঘ অর্পণের সময় তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক বাহা উদ্দিন বাহার, ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির,আব্দুল মতিন চৌধুরী, শেখ মো. ইউনুস, জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী, মো. সহিদ উল্লাহ, মো. গোলাম মাওলা খান বাবলু, মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, মো. বাশারুল আলম কামাল, মো. রেজাউল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ দৌলত, গোলাপ মঞ্জুর, জে.এম আনিস, জাকির হোসেন লিটন, ফিরোজ কিবরিয়া, মুস্তাফা কামাল হাওলাদার, মো. ছিদ্দিক, ইছাহক আলী, কাজী মো. রেজাউল করিম ও সাখাওয়াত হোসেন আশিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।