ডেস্ক রিপোর্ট | সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে অন্তত দুই জন নিহত হয়েছে। এরা নিঃসন্দেহে জঙ্গি ছিলো। তাদের সাথে লড়তে অন্তত দেড়শ রাউন্ড গুলি চালাতে হয়েছে। তিনটি বিচ্ছিন্ন পা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত হয়েছে দুই জন। অভিযানকালে টিনশেড বাড়িটির ভেতরে একটি বড় ধরনের বিষ্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে সেটি আত্মঘাতি বিষ্ফোরণ ছিলো।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে প্রায় ৫ ঘণ্টার অভিযান শেষে এসব এতথ্য জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, অভিযানের পর বোম ডিসপোজাল ইউনিট ভেতরে ঢুকে ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। অন্তত তিনটি পা দেখা যাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে- ওই বিষ্ফোরণে অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও বাড়িটি ক্লিন করা যায়নি এটি ক্লিন করতে সময় লাগবে, তারপর বুঝা যাবে কয়জন মারা গেছে।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের রুটিন কাজ চলমান থাকবে বাংলাদেশ থেকে নির্মূল না করা পর্যন্ত। আমরা এই কথাটি বলতে চাই- বাংলাদেশে যারা জঙ্গিবাদের দীক্ষিত হচ্ছেন তারা যেন ফিরে আসে। কারণ এসব কাজ ইসলাম ও মুসলমানদের বিপক্ষে যাচ্ছে। এসব কারণে মুসলমানদের বিষয়ে ভিন্ন ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের ধর্ম এগুলো সমর্থন করে না। তারা জানে একটি অদৃশ্য শক্তি তাদের দিয়ে এসব কাজ করিয়ে তাদের ধর্মকে বিশ্বে কাছে ভিন্নভাবে ব্যাখা করছে।’
আমাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে, অভিযান শেষ হয়নি বলেও জানান র্যাব মহাপরিচালক।
কীভাবে বিস্ফোরক নিয়ে জঙ্গিরা আসল এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এগুলো যদি ধরতে পারতাম তাহলে তারা এখানে আসতে পারত না। তবে তারা বড় কিছু ঘটনারো আগেই আমরা তাদের ধরে ফেলতি পেরেছি। এদের নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা হয়তো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, তারা চলতি মাসের ১ তারিখে বাড়িটিতে উঠেছিল।
এর আগে র্যাব এর পরিচালক মিডিয়া মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে গোপন সংবাদে জানা যায় জেএমবির সক্রিয় একটি গ্রুপ নাশকতার জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরের অদূরে বসিলায় একটি বাড়িতে অবস্থান করছে। গোলাবারুদও মজুদ আছে। খবর পাওয়ার পরপরই র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
মুফতি মাহমুদ বলেন, রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভেতর থেকে গুলি চালানো হয়। এরপরই আমরা নিরাপদ স্থানে সরে এসে পাশের ভবনগুলোর লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনি। এবং র্যাব সদস্যরাও বাইরে থেকে গুলি চালায়। পরে রাত চারটার দিকে বাড়িটির ভেতরে বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পর আর কোনও সাড়াশব্দ না থাকায় ড্রোন দিয়ে স্ক্যান করে পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করে র্যাব টিম। মুফতি মাহমুদ জানান, বিস্ফোরণের ফলে টিনের চালার কিছু অংশ উড়ে গেছে। পরে র্যাবের বোম ডিজপোজাল ইউনিট ভিতরে ঢুকে শরীরের বেশ কিছু ছিন্নভিন্ন অঙ্গ দেখতে পায়। পরে সেখানে সুইপিং অভিযান চালান র্যাব’র সদস্যরা।